মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের নিরাপত্তারক্ষী ও জাতিগত রাখাইন বিদ্রোহীদের মধ্যে নিয়মিত সংঘর্ষ হচ্ছে। এর ফলে মিয়ানমার-বাংলাদেশী সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানকারী কয়েক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গ্রাস করছে আতঙ্ক। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
২০১৭ সালের ২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে নৃশংস অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। এর ফলে বাধ্য হয়ে কমপক্ষে ৭ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। কিন্তু সীমান্তে যারা কঠিন বাস্তবতার মধ্যে অবস্থান করছেন তারা না চাইছেন বাংলাদেশের এসব ক্যাম্পে আসতে, তেমনি দেশেও ফিরতে চাইছেন না। এখন তারা মিয়ানমারের সেনা সদস্য ও আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াইয়ের মধ্যে পড়েছেন। আরাকান আর্মি বিদ্রোহীরা চাইছে, রাখাইনে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের জন্য রাখাইনে অধিকতর শায়ত্ত্বশাসন।
রোহিঙ্গাদের দলনেতা দিল মোহাম্মদ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, মিয়ানমারে সরকারি সেনা ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। পরিস্থিতি প্রচ- উত্তেজনাকর। এতে নিরাপত্তার যে বলয় গড়ে তোলা হয়েছে এবং প্রতিদিন যে গুলি বিনিময় হচ্ছে তাতে ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এএফপি আরো লিখেছে, সম্প্রতি আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ে মিয়ানমারে ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এরপরই গত সপ্তাহে সীমান্তে নিরাপত্তা ক্যাম্প বসিয়েছে সেনাবাহিনী। ব্যবহার করছে বাঙ্কার। সীমান্ত বেড়া বরাবর সরাসরি নেয়া হয়েছে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। নোম্যান্স ল্যান্ডের সংকীর্ণ স্থানে অবস্থান করছেন প্রায় সাড়ে চার হাজার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের দিকেও চোখ রাখছে সেনারা।
শরণার্থী নেতা নূর আলম বলেছেন, রাতের আঁধার নামার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তের ওপাড়ে ঘন ঘন শোনা যায় গুলির শব্দ। তিনি বলেন, প্রতি রাতেই এই শব্দ বেশি কাছে থেকে কাছে মনে হয়। মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষীরা আমাদের ক্যাম্পের কাছাকাছি নতুন ১০টি পোস্ট স্থাপন করেছে। এটা আমাদের জন্য খুবই ভীতিকর।
বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশী একজন কর্মকর্তা বলেছেন, তারা সীমান্তের উত্তেজনা সম্পর্কে অবহিত। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেছেন, কি করতে হবে তা নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবো।
উল্লেখ্য, দশকের পর দশক ধরে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিমরা। তাদের বসবাস পশ্চিমের রাখাইন রাজ্যে। এটি খুব বেশি অনুন্নত রাজ্য। এখানে রয়েছে জাতিগত ও ধর্মীয় বিদ্বেষ তীব্র আকারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।