পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি মৌসুমে সারাদেশেই শীতকালীন সবজির আবাদ ও উৎপাদন হয়েছে আশানুরূপ। বিভিন্ন এলাকার মাঠ ভরে গেছে সবজিতে। এই তথ্য জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফিল্ড সার্ভিস উইংএর পরিচালক কৃষিবিদ ডক্টর আব্দুল মুঈদ। তার মতে, শীতকালীন সবজির ফলন খুবই ভালো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রমতে, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, নরসিংদী, কুমিল্লা, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর, চট্রগ্রাম, রংপুর, ঠাকুরগাও ও দিনাজপুর এলাকায় সবজি আবাদ ও উৎপাদনে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। সেসব মাঠে মাঠে এখন শীতকালীন সবজি আর সবজি। মাঠে সবজির ফলন দেখে চাষিদের বুক ভরে যাচ্ছে। কিন্তু পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতে গিয়ে হাসি ম্লান হচ্ছে, তারা হচ্ছেন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। চাষিদের কথা, ‘কষ্ট করি আমরা আর ফল খায় মুনাফাখোররা, এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা হলো না, তাদের দাপট চলছেই’।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং এর অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আকরামুল হক জানান, সারাদেশে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন দু’টি মৌসুমে সবজি আবাদ হয় ৭ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। মোট উৎপাদন হয় ১ কোটি ৪০লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বড় অংশই হয় শীতকালে। একটি সূত্র জানায়, বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে না ওঠা, বাজারজাতের সমস্যা, উপযুক্ত মূল্য না পাওয়ায় চাষিরা বরাবরই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সবচেয়ে সমস্যা মাঠের মূল্য আর বাজার মূল্যের পার্থক্য। যার মূল দায়ী মধ্যস্বত্বভোগীরা। কাগজ কলমে মনিটরিং ব্যবস্থা থাকলেও বাস্তবে নেই কোথাও। সে কারণে উৎপাদক চাষি ও ভোক্তা উভয়েই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৬০ ভাগ সবজির সরবরাহ হয় যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে। এই অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক চন্ডীদাস কুন্ডু ও উপপরিচালক কৃষিবিদ ডক্টর মোঃ আখতারুজ্জামান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, প্রতিবছর এই অঞ্চলে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ১০ লাখ মেট্রিক টন শাক-সবজি উৎপাদন হয়। যশোরের পাইকারী বাজারের দিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দৃষ্টি দিলে সারাদেশের একটা বড় অংশের ভোক্তা কম মূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারতেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোরের বারীনগর, আমবটতলা ও খাজুরাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারী ব্যবসায়ী, ফড়িয়া ও দালালরা নামমাত্র মূল্যে সবজি ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে বিক্রি করে অতিরিক্ত মূল্যে। কয়েকজন সবজি চাষি বললেন, এককেজি সিম পাইকারী ব্যবসায়ীরা চাষিদের কাছ থেকে ক্রয় করছে মাত্র ১০/১২টাকা । খুচরা বাজারে সেই সিম বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা থেকে ৩৫ টাকা । অন্যান্য সবজির পাইকারী ও খুচরা বাজার মূল্যেরও বিরাট ফারাক থাকছে। সবজির বাজারের দিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নজর দিলে চাষি ও ভোক্তা উভয়েই লাভবান হবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।