Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাখাইনে আবারও সেনা অভিযান

মুসলমানদের ওপর দমনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের উদ্বেগ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মিয়ানমারের সেনারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর আবারও হামলা শুরু করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর তাদের সেনারা পুনরায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ বলছে, রাখাইনে গত সপ্তাহে চার পুলিশ স্টেশনে বিদ্রোহীদের হামলার পর এই সেনা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সোমবার মিয়ানমার সরকারের নেত্রী অং সান সু চি ওই বিষয় নিয়ে সামরিক প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জ হতয়ে জানিয়েছেন, বিদ্রোহীদের দমন করতে সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে সু চি’র প্রশাসন। হতয়ে বলেন, সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং, তার উপপ্রধান এবং সেনা গোয়েন্দাপ্রধানসহ সামরিক নেতাদের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন। রাজধানী নেইপিদোয় এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারি মুখপাত্র হতয়ে আরও বলেন, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সামরিক বাহিনীকে সন্ত্রাসীদের দমন করার জন্য অভিযান শুরুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে গোলযোগপূর্ণ রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এরপরই মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এমন ঘোষণা দিল। এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর দমন অভিযানের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাগুলো মিয়ানমার সরকারের প্রতি ওই দমন অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সোমবার বৈঠক করেছেন এবং সু চি’র প্রশাসন সশস্ত্র বাহিনীকে বিদ্রোহীদের দমন করার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের মুখপাত্র জ হাতয়। তিনি বলেন, সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা সেনাপ্রধান মিন অং হ্লায়িং, তার উপপ্রধান এবং সেনা গোয়েন্দাপ্রধানসহ সামরিক নেতাদের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র বিষয়ক আলোচনার জন্য বৈঠক করেছেন। রাজধানী নিপিদোতে এক সংবাদ সম্মেলনে হাতয় বলেন, “প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে সামরিক বাহিনীকে সন্ত্রাসীদের দমন করার জন্য অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” গোলযোগপূর্ণ রাখাইন রাজ্যে সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহে বৌদ্ধ সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীগুলোর বৃহত্তর সায়ত্ত¡শাসনের দাবিতে বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। এদের মধ্যে আরাকান আর্মি অন্যতম। জাতিসংঘের হিসাবমতে, রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে সরকারের লড়াইয়ে ডিসেম্বরের শুরু থেকে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিম বিদ্রোহীদের এক হামলার পর তাদের ওপর সেনা বাহিনীর দমনপীড়ন শুরু হলে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে। মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে পুলিশের সর্বশেষ সংঘর্ষটি হয়েছে গত শুক্রবারে দেশটির স্বাধীনতা দিবসে। কর্তৃপক্ষ এ হামলায় ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। ওদিকে, আরাকান আর্মি তাদের তিন যোদ্ধা নিহত হওয়ার কথা জানায় এবং সেনাবাহিনী পুলিশ স্টেশনকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করে। এএফপি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ