রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চট্টগ্রামের চন্দনাইশে শিম চাষে বদলে যেতে পারে কৃষি অর্থনীতি। অন্যান্য বছরের তুলানায় এ বছরও শিম চাষে ফলন ভালো হবে বলে আশা করেছেন শিম চাষিরা। চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলা ১০টি ইউনিয়নের প্রায় এলাকায় কম বেশি শিম চাষ করেছে চাষিরা। তবে উপজেলার পাহাড়ি এলাকার দোহাজারী, জামিরজুরি, রায় জোয়ারা, হাশিমপুর, লটএলাহাবাদ, সাতবাড়ীয়া, বৈলতলী, কাঞ্চনাবাদ, বরমা, বরকল ও শঙ্খ নদীর তীরবর্তী এলাকায় নদীর ধারে ধারে এবং পল্লী এলাকায় ব্যাপকভাবে শিম চাষ করা হয়েছে। যা চোখে পড়ার মত। শিম বিভিন্ন রকমারির শবজির মধ্যে পুষ্টিমান সমৃদ্ধ জনপ্রিয় একটি সবজি। এ শিম চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন করে পরিবারে সচ্ছলতা আনতে পারে। সমৃদ্ধ করতে পারে কৃষি অর্থনীতিকে।
চাষি রাজা মিয়া জানান, শিম ক্ষেত আবাদে খুব বেশির জমির দরকার হয় না। আলাদা জমি ব্যবহার না করেও অন্য ফসলের মাঝে এ শিম আবাদ করতে পারেন। এ ছাড়া ফসলি জমিতেও শিম বীজ রোপন করে তা ফলন করা যায়। বর্ষাকালে বিভিন্ন সবজি চাষ শেষ হয়ে গেলে শীতের আগমনের আগে ভাদ্র আশ্বিন মাসে শাক সবজির ঘাটতি দেখা দেয়। এ সময় বিভিন্ন জাতের শিম চাষ করে সবজির ঘাটতি পুরণ করতে পারে। তার পাশাপাশি পরিবারের জন্য বাড়তি আয়ের উৎস। দেশে বিভিন্ন জাতের শিম চাষ হয়। এর মধ্যে তরকারির শিম বা কাটোয়া শিম এবং উন্নত জাতের দেশিয় শিম দেশিয় কাটোয়া জাতের পুষ্টি মানের তেমন তারতম্য নেই তবে আকৃতগত তারতম্য রয়েছে। জাত ভেদে ১৫ থেকে ৪০ সেল্টিমিটার লম্বা এবং ৩ থেকে ৪ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। দেশিয় জাতের শিম আকারের অনেকটা ছোট হয়। ফলনের দিক দিয়ে এ শিম অধিক পরিমানে উৎপাদন হয়। বতমানে দক্ষিণ চট্টগ্রামে চন্দনাইশে দশটি ইউনিয়নের সর্বত্রে বিপুল পরিমানে শিম চাষের ফলন হচ্ছে। উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ায় এবং দোঁআশ মাটিতে ভালো হয়। দোআঁশ মাটি উর্বরা শক্তির বৃদ্ধিতে শিমের ফলন ভাল হয়। শিমের বীজ শুকিয়ে রাখে কৃষকদের পরিবারে। আষাঢ়ের বর্ষা মৌসুমে ছড়া দামে এ শিমের বীজ বিক্রি করে বিভিন্ন হাট বাজারে। চাষি ইদ্রিস মিয়া জানান প্রতি কানি জমিতে বর্তমান শিম চাষে ৬০-৭০ হাজার টাকা খরচ হয় চাষিদের। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ১৭/১৮ সনে ৩১০ হেক্টর ভুমিতে শিম চাষ হয়েছে। ক্রেতা হোসেন জানান, বর্তমান বাজারে শিমের প্রতি কেজি বিশ থেকে ত্রিশ টাকা এবং শিমের বীজ প্রতি কেজি একশ থেকে আশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুরুতেই শিমের কেজি ছিল ষাট থেকে আশি টাকা এবং বীজ ছিল একশত থেকে একশত পঞ্চাশ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।