গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে পোশাক শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে তারা মিরপুরের কালশী সড়কে অবস্থান নেন। তাদের সরিয়ে দিতে একবার ধাওয়া দেয় পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে ২২ তলা পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নেন। তাদের অবস্থানের কারণে বর্তমানে সড়কটিতে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একবার সরে গেলেও শ্রমিকরা আবার অবস্থান নেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পল্লবী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক করিম বলেন, মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে তারা মূল সড়কে অবস্থান নিয়েছে। ওসি নজরুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। তবে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।
এর আগে গত দুইদিন এয়ারপোর্ট, উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর সড়কে অবস্থান নেন তারা। রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে উত্তরায় সড়ক অবরোধ করেন পোশাক শ্রমিকরা।
অবরোধের ফলে উত্তরার জসীমউদ্দীন, আজমপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে দুপুর দেড়টার দিকে ভার্সেটাইল অ্যাপারেল প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ কে ফজলুল হক আজমপুর চৌরাস্তায় এমে শ্রমিকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন। পরে মালিকপক্ষ ও পুলিশের আশ্বাসে দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।