Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগ রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে

নোয়াখালীতে মির্জা ফখরুল

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার ও সিইসি জাতিকে পুরোপূরিভাবে প্রতারিত করেছে এবং জনগনকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। বঞ্চিত করার পর তারা জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সেজন্য তারা গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনের দিন ও নির্বাচন পরবর্তী যে সহিংসতা সৃষ্টি তারা করেছে, তাতে অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে পঙ্গু হয়েছে এমনকি আমার বোন ও চার সন্তানের মা নোয়াখালীতে ধর্ষিত হয়েছে। আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি, তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং জনগনের কাছে এই বিচার দিচ্ছি।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আমরা মনে করি আওয়ামী লীগ এই রাষ্ট্রপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে জনগনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় এটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত সৃষ্টি হল, অন্ধকার যুগে প্রবেশ করল এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিলীন হল, এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে গেল।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ গতকাল শনিবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে সূবর্ণচরে ধর্ষিতাকে দেখতে যান। এসময় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ধর্ষিতার খোঁজ খবর নেন। পরে মির্জা ফখরুল উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
বিকালে নোয়াখালী আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য রাখেন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনে ভোট চুরি করেছে প্রশাসন ও পুলিশ। নমরুদ, ফেরাউন টিকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও ক্ষমতায় টিকতে পারবেনা। আ স ম আবদুর রব বলেন, ৩০ তারিখে ভোট হয়নি, ২৯ তারিখ রাতেই ভোটের বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। এধরনের মহা ডাকাতি পৃথিবীর কোথাও হয়েছে কিনা আমি জানিনা। আমি ধিক্কার জানাই, প্রতিবাদ জানাই।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম ও অ্যাডভোকেট জাকারিয়া প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লা বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নুল আবদীন ফারুক, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেত্রী রেহানা আক্তার রেনু, শিরিন আক্তার, কামরুজ্জমান রতন ও সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া প্রমুখ। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আগমন উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বিপূল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বেগমগঞ্জ উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামে ভোটের দিন অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্থ ইউনিয়ন বিএনপি সাধারন সম্পাদক শাহিনের বাড়ি পরিদর্শন করেন। এরপর সেনবাগ ও দাগনভূঁইয়া উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্থ বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখতে যান।
‘ত্রাসের পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করেছে ক্ষমতাসীনরা
চান্দিনা (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীনরা সারাদেশে ‘ত্রাসের পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুল বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বের সহিংসতা, নির্বাচনের দিনের সহিংসতা ও নির্বাচনের পরের সহিংসতার মধ্যে দিয়ে আজকে গোটা বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা একটা ত্রাস ও ভীতির নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে। আমরা দেখেছি নোয়াখালীতে আমাদের একজন বোন ধর্ষিত হয়েছেন। গতকাল কুমিল্লায় যাত্রাবিরতির সময় সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি এবং সারাদেশে সর্বত্রে যে সহিংসতা হয়েছে, তার নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়েছি এই সহিংসতা প্রতিরোধ করার। এ সময় ভোটের পরের সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে ফখরুল বলেন, “রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মধ্যে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হলো আবার। এই ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দেশের প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ