পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করায় কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে নির্বাচন কমিশনের পিঠা উৎসব আর বার-বি-কিউ এর আয়োজনে ‘আদিম বর্বরতার’ ছাপ স্পষ্ট। আদিম মানুষেরা পশু শিকারের পর যেমন উৎসব করত, ইসিও তেমনি গণতন্ত্রকে হত্যা করে সেই উৎসব করেছে। সিইসি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন ‘নির্লজ্জ’ বলেই এ কাজটি তারা করতে পেরেছে। গতকাল নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনকি আদালতকে ব্যবহার করে সরকার একতরফাভাবে জনগণবিরোধী অগণতান্ত্রিকভাবে মহা ভোট ডাকাতি, মহা ভোট জালিয়াতির নির্বাচন করেছে। এই প্রহসনের ভোটের একটা পার্ট হচ্ছে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারগণ।
নির্বাচন নিয়ে টানা কয়েক মাসের ব্যস্ততার পর বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক ‘ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি বড়শী দিয়ে মাছ ধরে ‘বার-বি-কিউ’ করে খাওয়া হয় ওই অনুষ্ঠানে। ভোটের চার দিন পর ইসি ভবন প্রাঙ্গণে ফোয়ারা চত্বরে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, কমিশনারগণ, কমিশনের সচিবসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ছিল স্বস্তির ভাব এবং উৎসবের আমেজ। তবে এ নিয়ে বিএনপি নেতা রিজভী প্রচন্ড ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
রিজভী বলেন, আদিম বন্য মানুষরা, তারা শিকার করে আগুন জ্বালিয়ে উৎসব করে। এটা তো হচ্ছে আদিম পশু প্রবৃত্তি এই উৎসব। ডাকাতরা ডাকাতির মাল যেখানে ভাগ-বাটোয়ারা করে, সেখানে উৎসবই করে। সেটা কোনো পাহাড়ের গুহায় অথবা বনের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে। একটা আদিম এবং পাশবিক উল্লাস সেখানে দেখি। নির্বাচন কমিশনও সেটাই করছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, কারাগারে থাকা তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে আত্মীয়-স্বজন বা ব্যক্তিগত চিকিৎসককেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ভোটার শূন্য নির্বাচনে বিদেশি মদদপুষ্ট অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী শক্তি গণতন্ত্রকে দাফন করতে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটকে রেখে জুলুমের পর জুলুম চালিয়ে যাচ্ছে। বিনা চিকিৎসায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তাকে রাখা হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী নিকটজনদের সাক্ষাতের সুযোগ দিতেও নানা ফন্দি-ফিকির করে বিলম্ব করা হচ্ছে। রিজভী দাবি করেন, গত ২০-২১ দিনে আত্মীয়-স্বজনদের খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। দলের সিনিয়র নেতা বা ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা গত চার মাসেও বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি পাননি।
অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, আবেদ রাজা, সুরঞ্জন ঘোষ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।