নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শুরুর পর থেকে নিয়মিত থাকলে বেশ কিছুদিন ধরেই অনিয়মিত আয়োজন হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত এই গেমস এক বছর পরপরই অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এরপরই হঠাৎ যেন ছন্দ হারিয়েছে এসএ গেমস। কখনো ৩, কখনো বা ৪ বছর পর অনৃুষ্ঠিত হয়েছে এই গেমস। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ভারতের গৌহাটি ও শিলং শহরে বসেছিল এসএ গেমসের ১২তম আসর। নির্ধারিত বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী গত বছরের শুরুতে বসার কথা ছিল গেমসের ১২তম আসরের। কিন্তু না, দিনক্ষণ ঠিক রাখতে পারেনি সাউথ এশিয়া অলিম্পিক কাউন্সিল। পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ হয়েছে চলতি বছরের ৯ থেকে ১৮ মার্চ। কিন্তু এই দিনক্ষণও ঠিক থাকছে না। আয়োজক নেপাল ১৩তম এসএ গেমসটি এ বছরের শেষ দিকে আয়োজনের ইঙ্গত দিয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এ বছরও এসএ গেমস অনিশ্চিত।
আর এই অনিশ্চিতের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর। গতকাল তিনি বলেন,‘আমরা আয়োজক নেপালের কাছ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করেছি মার্চে গেমস হওয়ার নিশ্চয়তা পেতে। তবে যতটুকু জেনেছি নেপাল মার্চে গেমস আয়োজন নাও করতে পারে।’
তাহলে কবে বসতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ ক্রীড়া আসর? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই বিওএ উপ-মহাসচিবের কাছে। কোহিনুরের প্রত্যাশা মার্চে না হলেও আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে গেমস হবে। আর এ বছর না হলে পরের বছরও হবে না। এসএ গেমস চলে যেতে পারে ২০২১ সালে।’
নিজেদের আভ্যন্তরীন সমস্যার কারণে আগামী মার্চে গেমস আয়োজন করতে না পারলেও নেপাল এখনো কিছু বলেনি। যে কারণে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো তাদের প্রস্তুতিতেও জোর দিতে পারছে না। অনুশীলন শুরু নিয়ে দোটানায় পড়েছে বিওএ। কারণ গেমসের ট্রেনিং নিয়ে তীক্ত অভিজ্ঞতা আছে তাদের। গত জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমসের অনুশীলনের জন্য ৬ কোটি টাকা চেয়ে তা সময়মতো পায়নি বিওএ। ফলে পর্যাপ্ত অনুশীলন না করেই সর্বশেষ এশিয়ান গেমসে গিয়ে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেয় বাংলাদেশ। ৩২ বছর পর এশিয়ান গেমস থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
এসএ গেমসে ২৭ ডিসিপ্লিনে খেলা হলেও বাংলাদেশের অংশ নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২৩টিতে। এক আসর বিরতি দিয়ে এই গেমসে ফিরছে ক্রিকেট। বিওএ থেকে সম্ভাব্য ফেডারেশনগুলোকে নিজেদের উদ্যোগে অনুশীলন শুরুর তাগিদ দিলেও গেমস শুরু দিনক্ষণ চুড়ান্ত না হওয়ায় এই অনুশীলনেও অনিশ্চয়তা।
কোহিনুর জানান, নেপাল যদি শেষ পর্যন্ত এসএ গেমস আয়োজন করতে না পারে না তাহলে এর দ্বিতীয় দাবীদার শ্রীলঙ্কা। তারা না পারলে গেমস আয়োজনের সুযোগ পাবে পাকিস্তান। আর পাকিস্তানও যদি এই গেমস নিয়ে টালবাহানা করে তাহলে সরকারের অনুমতি নিয়ে বিওএ চেষ্টা করবে তা আয়োজন করতে। ২০১৬ এসএ গেমসে বাংলাদেশ ৪ টি স্বর্ণ, ১৫ রৌপ্য ও ৫৬ টি ব্রোঞ্জপদক পেয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।