জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এখনো জানেন না তাঁর দল সরকারে থাকবে নাকি জাতীয় সংসদের বিরোধী দল হবে। দল ২২টি আসন পেলেও এরশাদ নিজেই নির্বাচনে প্রচারণাও নামেননি এবং ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাননি। এমনকি নির্বাচনী এলাকা রংপুরেও যাননি। প্রতীক বরাদ্দের পর চিকিৎসা নিতে তিনি সিংগাপুর যান আর ভোটের তিনদিন আগে দেশে ফেরেন। এ অবস্থায় তার দল ২১টি মহাজোট এবং একটি উন্মুক্ত আসন লাভ করে। দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, ২ জানুয়ারি নব-নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সাথে অনুষ্ঠেয় যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত হবে জাতীয় পার্টি সরকারে নাকি বিরোধী দলে থাকবে। সুত্র জানায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বেগম রওশন এরশাদকে বিরোধী দলের নেতা করা হলেও এবার এরশাদের ভাই জিএম কাদেরকে বিরোধী দলের নেতা করার প্রস্তাবনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে ভোটের আগে এরশাদকে চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে জিএম কাদেরকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়। কিন্তু এরশাদ সে প্রস্তাব মেনে নেননি; মনের দুঃখে তিনি রংপুর-৩ আসনের প্রার্থী হয়েও ভোট দিতে যাননি।
এ অবস্থায় আজ বনানীস্থ চেয়াম্যানের কার্যালয়ে দলের নতুন এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের যৌথ সভার আয়োজন করা করা হয়েছে। এই সভায় জাতীয় পার্টি সরকারের থাকবে না বিরোধী দলে যাবে নাকি সরকার বিরোধী দল উভয় যায়গায় থাকবে তা চূড়ান্ত করা হবে। তবে জাপার মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, যৌথ সভায় দলের অবস্থান চূড়ান্ত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও বিষয়টি নিয়ে মহাজোটের নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতামত নেয়া হবে। তবে জাপার একাধিক নেতা জানান, জাতীয় পার্টির নেতা এবং নব নির্বাচিত এমপিদের অধিকাংই জিএম কাদেরকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দেখতে চাচ্ছেন না। তাদের আস্থা বেগম রওশন এরশাদের উপরই। আবার বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রীত্বের জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। সুত্র জানায়, এরশাদের এবং জাতীয় পার্টির অবস্থান কি হবে তা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর। তবে জাপা চায় আগের মতোই মন্ত্রী সভায় দলের কয়েকজন থাকুক; এবং বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করুক। #