Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভাসমান হাঁসের খামারে স্বাবলম্বী শতাধিক পরিবার

সিংড়া (নাটোর) থেকে আনোয়ার হোসেন আলীরাজ | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

চলনবিল অঞ্চলে ভাসমান হাঁসের খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শতাধিক দরিদ্র পরিবার। এসব পরিবারের সদস্যরা বছরের পুরোটা সময় হাঁস পালন করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। মূলত হাঁস পালন ও ডিম বিক্রি করেই সংসারের অভাব-অনাটন, মৌলিক চাহিদা মেটানোসহ ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচও যোগান দেন তারা।
চলনবিলের সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক পরিবারের উপার্জন করেন হাঁস পালন করে। সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অনেক পরিবার নিজ উদ্যোগে গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার। এরমধ্যে ডাহিয়া, আয়েশ, বিয়াশ, কালিনগর, সাতপুকুরিয়া, হিজলী, কান্তনগর গ্রামের অনেক পরিবার হাঁস পালন করে সংসার চালাচ্ছেন। সরকারি কোন সহযোগিতা ছাড়াই এসব পরিবার স্বাবলম্বী হয়ে ওঠছেন। তবে সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা পেলে আরো ব্যাপবভাবে তারা হাঁস পালন করে আমিষের চাহিদাসহ অর্থনৈতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।


নাছিয়ারকান্দি গ্রামের আমজাদ হোসেন জানান, ছয় বছর থেকে হাঁস পালন করে আসছি। বর্তমানে ৪০০টি হাঁস রয়েছে খামারে। হাঁস পালন করে জীবিকা র্নিবাহের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ যোগান দিচ্ছেন তিনি। কালিনগর গ্রামের আলেফ বলেন, প্রায় ১৫ বছর থেকে হাঁস পালন করে আসছি। এটি একটি লাভ জনক ব্যবসা। তার খামারে ৭০০টি হাঁস রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৪০০টি ডিম বিক্রি করেন তিনি। ডিমগুলো ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। আলেফ বলেন, সারা বছর হাঁস পালন করে হাঁসের খাবার মেটানোর জন্য বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে খামার করে হাসগুলো প্রতিপালন করি। প্রকৃতিকভাবে খাবার মেটানো খরচ কম হয়। এতে লাভ বেশি হয়। কথা হয় কয়েকজন ডিমের আড়তদারের সাথে। তারা জানান, প্রতিদিন তারা কয়েক হাজার ডিম কিনে নেন এবং তা বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করেন। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, হাঁসপালনকারী খামারিদের সঠিকভাবে দিকনির্শেনার পাশাপাশি সহযোগিতা দেয়া গেলে, আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিতেও তারা ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।



 

Show all comments
  • আব্দুল্লাহ আল মারুফ ৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ৭:১৭ পিএম says : 0
    আমার হাঁস খামার করতে অনেক ভাল লাগে। আশা আছে আমি খামার করবো। ইনশাআল্লাহ। আপনারা আমার জন্য দোআ করবেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খামার


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ