Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দূষণে দিল্লিকেও ছাড়িয়েছে কলকাতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

কলকাতা শহরে দূষণের মাত্রা ক্রমশই বাড়ছে। শীতকাল আসলে ও ঠান্ডা পড়লে সেই দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব আরও বেশি অনুভূত হয়। খুব একটা পরিকল্পিত নগরী না হওয়া ও জনবসতির আশেপাশেই কলকারখানা গড়ে ওঠায় বাতাসে দূষণের মাত্রা আরও বেড়েছে। বাতাসে দূষণের মাত্রা বোঝা যায় ‘এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স’, বা ‘একিউআই’ সূচকের সাহায্যে। একিউআই যত বেশি হয় দূষণের মাত্রাও তত বেশি বলে ধরে সেয়া হয়। একিউআই শূন্য থেকে ৫০ মানে বাতাসের মান খুবই ভালো। ৫০ থেকে ১০০ হলে তুলনায় একটু কম ভালো। ১০১ থেকে ১৫০ মানে, যাদের শ্বাসকষ্ট বা ওই জাতীয় সমস্যা আছে -তাদের জন্যে খারাপ। ১৫১ থেকে ২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর। ২০১ থেকে ৩০০ মানে অতি অস্বাস্থ্যকর এবং আর ৩০১ থেকে ৫০০-র মধ্যে একিউআই থাকলে ক্ষতিকর। দিল্লিতে শীতকালে এ দূষণমাত্রা ৩০০-র কাছাকাছি থাকে। সেটাই যথেষ্ট খারাপ। নভেম্বরের শুরুতে দিল্লির অশোক বিহার রেল স্টেশন এলাকা, যা শহরের দূষিততম অঞ্চল বলে ধরা হয়, সেখানে একিউআই ছিল ২৯২ দশমিস ২৫। একই সময় কলকাতার উত্তর প্রান্তে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একিউআই ছিল ৩৮১! এমনকি কলকাতা শহরের ফুসফুস বলে পরিচিত যে অঞ্চল, গাছপালায় ঘেরা সেই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল এলাকাতেও দূষণের মাত্রা ছিল ৩১০ দশমিস ৭৫! অর্থাৎ, গাছপালা, জলাশয় -এগুলোও কোনো সাহায্য করছে না শহরের দূষণ কমাতে। তবে পরিসংখ্যান বলছে, কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে ৯৯ শতাংশ মালবাহী গাড়ি এবং যাত্রীবাহী বাস ডিজেলে চলে। এ ছাড়া নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলা, জলাশয় ধ্বংস করা ঘটেই চলছে। এ বিষয়ে প্রশাসনও সতর্ক নয়। দিল্লি শহরে যেখানে দূষণ মাপার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র রয়েছে ১৯টি, কলকাতায় সেখানে এমন যন্ত্রের সংখ্যা মাত্র ২টি। ডিডব্লিউ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দূষণ

২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
৪ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ