Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজকুমারী লতিফার বেঁচে থাকার প্রমাণ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, রাজকুমারী লতিফা তার পরিবারের সঙ্গেই বসবাস করছেন। বিবৃতিতে সব ‘গুজব’ বাতিল করে দিয়ে আরও বলা হয়েছে, রাজকুমারীর সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিসনের সাবেক প্রধান ও আয়ারল্যান্ডের সাবেক প্রেসিডেন্ট ম্যারি রবিনসন দেখা করেছেন। সেই ছবি সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম স্কাই নিউজ জানিয়েছে, রাজকুমারীরকে হত্যা করা হয়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে আরব আমিরাতকে বিবৃতি দিতে হলো। রাজকন্যা শেইখ লতিফা (৩৩) দুবাইয়ের শাসক মুহাম্মেদ বিন রাশিদ আল মাখতুমের মেয়ে। গত মার্চ মাসে তিনি দুবাই ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। একটি ভিডিও বার্তায় রাজকুমারীকে তার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখা যায়। এরপর প্রায় ৯ মাস ধরে তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। রাজকুমারী লতিফাকে জোর করে আরব আমিরাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে মানবাধিকার সংস্থাগুলো আরব আমিরাতের সরকারের কাছে দাবি জানাতে থাকে তার অবস্থানের তথ্য জানাতে। রবিনসন লতিফার সঙ্গে দেখা করেছেন। তার সঙ্গে ছবি তুলেছেন। সেসব ছবি প্রকাশ করে আরব আমিরাতের বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘লতিফার পরিবারের আমন্ত্রণে ১৫ ডিসেম্বর দুবাইতে শেখ লতিফার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।’ লতিফার আরব আমিরাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে উপন্যাসের চয়েও এসই উত্তেজনাকর উল্লেখ করে স্কাই নিউ জানিয়েছে, তিনি তার বন্ধু টিনা জাউহাইনেন ও ফরাসি গুপ্তচর হারভে জবার্টের সহায়তায় আরব আমিরাত থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তার খোঁজ না পাওয়ার বিষয়ে উদ্বগ জানিয়েছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠন। জাতিসংঘের গুম বিষয়ক সংস্থা তার বিষয়ে শুনানি পর্যন্ত আয়োজন করেছিল। রাজকুমারী ওমান হয়ে নৌযানে করে ভারত মহাসাগরের দিকে যাচ্ছিলেন। তার ইচ্ছে ছিল, ভারতের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা। কিন্তু গোয়া উপকূলেই তাদেরকে আটক করে ‘সশস্ত্র ব্যক্তিরা’ তারপর তাকে আরব আমিরাতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।ওই শেষবার তাকে দেখেছিলেন তার সহযোগীরা। স্কাই নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আরব আমিরাত

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ