Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিলিস্তিনের পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ঘোষণা আব্বাসের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:০২ পিএম

আদালতের রুল অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। শনিবার তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা নিষ্ক্রিয় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হবে। আব্বাসের এ ঘোষণায় ক্ষোভ জানিয়েছে হামাস। পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়া হলে বিশৃঙ্খলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে গাজার শাসনে থাকা সংগঠনটি। খবর আল-জাজিরা।
ফিলিস্তিনের বিধান অনুযায়ী, প্রতি চার বছর পর পর পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। কিন্তু সেখানে সর্বশেষ পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ১২ বছর আগে, ২০০৬ সালে। সেসময় হামাস নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে এবং পরবর্তীতে ফাতাহ’র সঙ্গে তাদের বিবাদ শুরু হয়। হামাসের তুমুল প্রতিরোধের মুখে ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ হারায় পশ্চিমা সমর্থিত রাজনৈতিক দল ফাতাহ। সেসময় থেকে পশ্চিম তীর এবং অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। গাজার নিয়ন্ত্রণে হামাস আর পশ্চিম তীরে শাসন পরিচালনা করছে ফাতাহ। গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে একটি মতৈক্যের সরকার কার্যকর করতে গত বছরের অক্টোবরে ফাতাহ ও হামাস একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
মূলত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও মিসরের অব্যাহত অবরোধ, ফাতাহ সরকারের তৈরি বিদ্যুৎ সংকট এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন না দেওয়ার মুখে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে হামাস। এমন পরিস্থিতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এ দলটিকে পশ্চিমা সমর্থিত ফাতাহ’র সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হতে বাধ্য করে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শুরুর কথা ছিল। তবে বিভিন্ন ইস্যুতে সমঝোতা না হওয়ায় পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন স্থগিত রয়েছে।
শনিবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। রামাল্লায় ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আব্বাস বলেন, ‘এ ইস্যু সাংবিধানিক আদালতে পৌঁছেছে। সেখান থেকে ফিলিস্তিনি আইন পরিষদ ভেঙে দেওয়ার রায় এসেছে এবং ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করতে বলা হয়েছে। আমাদেরকে তা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে।’ এ পদক্ষেপ আব্বাসকে হামাসের ওপর আরও বেশি করে চাপ প্রয়োগে সহায়তা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মাহমুদ আব্বাসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হামাসের রাজনীতিবিদ ইয়েহিহা মুসা। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি টেলিফোনে বলেন, ফিলিস্তিনি আইন পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং ফিলিস্তিনি এলাকায় বিশৃঙ্খলার সূচনা হবে। এটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির রসনা জোগাবে।’
২০০৯ সালেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাহমুদ আব্বাসের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নির্বাচন না হওয়ায় এখনও তিনি দায়িত্বে বহাল আছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ