মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো সেনাবাহিনীর নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কংগ্রেসের উভয় দলের সিনেটররা। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের ওই গ্রুপটি বুধবার এমন আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের কাছে। ২০১৭ সালের ২৫ শে আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংস নির্যাতন শুরু করে সেনাবাহিনী। এতে বাধ্য হয়ে কমপক্ষে ৭ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। এ ঘটনাকে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন ও অন্যরা জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তবে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমার। এ বিষয়ে যুক্তাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন সিনেটররা। ওই চিঠির একটি কপি দেখতে পেয়েছে রয়টার্স। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব রিপোর্টে গণহত্যার ব্যাপক ও সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তা সত্তে¡ও গণহত্যা চালানো হয়েছে এ মর্মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করে নি। এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এর আগে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর ওই নৃশংসতাকে গণহত্যা ঘোষণার জন্য প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির নেতারা। যুক্তরাষ্ট্র সরকার মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওই নৃশংসতাকে গণহত্যা ঘোষণা দিলে তাতে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হতো যুক্তরাষ্ট্র। তাই ওই রিপোর্টকে থামিয়ে রাখা হয়। অপর এক খবরে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা তদন্তে মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় কমিশনের তদন্ত বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তারা সরকারি ওই তদন্তকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আখ্যায়িত করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, রাখাইনে রোহিঙ্গারদের ওপর যে নৃশংসতা চালানো হয়েছে তা তদন্তে মিয়ানমার কমিশন গঠন করেছে। কিন্তু জাতিগত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ আছে তা তদন্তে ওই কমিশন সুস্পষ্টভাবে অনিচ্ছুক। উল্লেখ্য, মিয়ানমার সরকার গঠন করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি। এর প্রধান রোজারিও মানালো। তিনি গত ১২ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেছেন, সরকারিভাবে তদন্ত শুরু করার চার মাসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ তারা পাননি। এর জবাবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, কমিশন তথ্যপ্রমাণকে এড়িয়ে গেছে এবং জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডারস, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলোর তদন্তকে আমলেই নেয়নি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্রাড এডামস বলেছেন, ভয়াবহ যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে মিয়ানমারের ওই কমিশন। ফলে তারা ন্যায়বিচার চাওয়ার ক্ষেত্রে সিরিয়াস না। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।