পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
গ্রাম-বাংলায় একটা বহুল-প্রচলিত কথা আছে: ‘মাচার তলায় কে রে? না, আমি কলা খাই না’। মাচার তলে এক লোকের লুকিয়ে কলা খাওয়া নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ধরা পড়ে যাবার ভয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বাঁচার চেষ্টা কলা-খাদকের। ব্যাপারটা মনে পড়ে গেল আওয়ামী লীগের দুই নম্বর নেতা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের একটা কথা থেকে।
বর্তমানে আওয়ামী লীগ যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে, তাদের পক্ষে তা সম্ভব হয়েছিল এমন এক নির্বাচনের মাধ্যমে, যাকে সাধারণ মানুষ আখ্যা দিয়েছিল ‘ভোটারবিহীন নির্বাচন’। এর কারণও ছিল। ৫ জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিত ঐ নির্বাচন বাস্তবে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি কর্তৃক বর্জিত হওয়ায় ঐ নির্বাচন বাস্তবে পরিণত হয়েছিল একটি নির্বাচনী প্রহসনে। বিএনপি ঐ নির্বাচন বর্জন (বয়কট) করেছিল আওয়ামী লীগ বিএনপির সাথে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্বন্ধে অতীতে যে সমঝোতায় পৌঁছেছিল সে সমঝোতা লংঘন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ায়।
বিষয়টা খোলাসা করার জন্য যে পটভূমিতে এসব ঘটেছিল সে পটভূমি সম্বন্ধে আলোকপাত করা অত্যাবশ্যক। দেশের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের স্মরণ থাকার কথা, একদা স্বাধীন বাংলাদেশ একটি নির্বাচিত সরকারকে সামরিক ক্যুর মাধ্যমে উৎখাত করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে বসে তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তখন সকলকে অবাক করে দিয়ে সেই সামরিক ক্যুর প্রতি সমর্থন দিয়ে বসে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ।
এরপর দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে জেনারেল এরশাদের স্বৈর শাসনের পালা। পাশাপাশি চলতে থাকে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের এরশাদ-বিরোধী আন্দোলন। আওয়ামী লীগ বহুদিন ধরে এসব আন্দোলন থেকে দূরে সরে থাকে। পক্ষান্তরে এরশাদের স্বৈর শাসন-বিরোধী আন্দোলনে প্রধান নেত্রী হিসাবে নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন রাজনীতিতে অপেক্ষাকৃত নবাগতা বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী হিসাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তাঁর এই জনপ্রিয়তার প্রমাণ পাওয়া যায় পরবর্তী নির্বাচনে।
এদিকে এরশাদ-বিরোধী আন্দোলন জোরদার হয়ে উঠলে আওয়ামী লীগও এক পর্যায়ে সে আন্দোলনে যোগ দেয়। আরও পরে জেনারেল এরশাদের স্বৈর শাসনের স্থলে দেশে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুন:প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্নে একমত হয় দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সে লক্ষ্যে এ প্রশ্নেও প্রধান দুই রাজনৈতিক দল একমত হয় যে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
যেমনটা আশা করা গিয়েছিল, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়। নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতাকালে এক পর্যায়ে বলেন, আমি সকল জেলার খবর নিয়েছি। নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হয়েছে। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন, ভোটে হেরে গিয়ে এর মধ্যে কেউ যেন আবার কারচুপি আবিষ্কার না করে।
ভোট গণনা শেষে যখন জানা গেল, আওয়ামী লীগ নয়, নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বিএনপি, অবলীলাক্রমে শেখ হাসিনা বলে ফেললেন, নির্বাচনে সূ² কারচুপি হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কেউ তাঁর এ স্ব-বিরোধী মন্তব্যে গুরুত্ব না দেয়ায় স্বাভাবিক নিয়ম মোতাবেক বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠিত হলো এবং শেখ হাসিনা হলেন জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রধান মন্ত্রীত্বের মেয়াদ শেষ হলে প্রধানত : শেখ হাসিনার দাবীর মুখেই দেশের সকল জাতীয় নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠানের বিধান রেখে সাংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে গৃহীত হয়।
বাংলাদেশের বিশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ব্যবস্থাই যে গণতন্ত্রের লক্ষ্যে সব চাইতে উপযোগী তা বাস্তবে প্রমাণিত হয়। এই ব্যবস্থাধীনে দেশে বেশ কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে পালাক্রমে দুই প্রধান দল পর পর নির্বাচিত হয়ে দেশ পরিচালনার সুযোগ লাভ করে।
দু:খের বিষয় কিছু সংখ্যক রাজনীতিকের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা-ক্ষুধা এক পর্যায়ে এই সুন্দর ব্যবস্থাটিকেও পচিয়ে ফেলে। এবং এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার প্রধান মন্ত্রীত্বের আমলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনের পরিবর্তে নির্বাচিত দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ প্রস্তাব অনুসারে সরকার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিলে বিএনপি এ ঘোষণাকে অতীতে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগ যে সমঝোতায় পৌঁছেছিল, তার সুস্পষ্ট লংঘন এ অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়। দেশের একটি প্রধান দল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলে এ নির্বাচন বাস্তবে একটি নির্বাচনী প্রহসনে পরিণত হয়। জনগণও এ নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
দেশের একটি বড় দল বিএনপি কর্র্তৃক নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার ফলে জনগণও এ নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় এ নির্বাচন হয়ে পড়ে একটি নির্বাচনী প্রহসনে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা তো দূরে থাক শাসকদল (আওয়ামী লীগ) এর অনেক নেতাকর্মীও ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার গরজ অনুভব করেননি। কারণ তারা জানতেন তারা ভোট কেন্দ্রে না গেলেও তাদের ভোট দানের ব্যবস্থা ঠিকই করা হবে দলের পক্ষ থেকে।
বাস্তবে হয়ও সেটাই। ভোট কেন্দ্রে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অনুপস্থিতির সুযোগে শাসক দলের অল্পসংখ্যক নেতা কর্মী ইচ্ছা মত দলীয় প্রার্থীদের ব্যালটপত্রে সীল মেরে তাদের পক্ষে প্রদত্ত ভোট সংখ্যা অকল্পনীয়ভাবে বাড়িয়ে তাদের বিপুলভোটে বিজয়ী দেখানোর সুযোগ গ্রহণ করেন, যদিও ভোট দানের জন্য নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র ছিল প্রায় ফাঁকা, জনশূণ্য। এভাবে বিপুল ভোটে শাসক দলের প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার কথা ঘোষিত হলেও ভোট প্রদানের জন্য নির্ধারিত সময়ে অধিকাংশ ভোট কেন্দ্র যে ছিল ফাঁকা, জনশূণ্য, তা ফাঁস হয়ে পড়ে পরদিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে ভোট প্রদানের সময়কালীন সচিত্র প্রতিবেদনে। এ কারণে জনগণ এই নির্বাচনী প্রহসনের নাম দেয় ভোটারবিহীন নির্বাচন।
বর্তমানে যে সরকার দেশ শাসন করছে তা এই ভোটারবিহীন নির্বাচনেরই ফসল। এওতো গেল সেসব আসনে এ ধরনের নির্বাচনী প্রহসনের প্রয়োজন পড়ে ছিল যেসব আসনের কথা। জাতীয় সংসদের মোট ৩০০ আসনের অধিকাংশ ১৫৩ আসনে তো এরকম প্রহসনেরও প্রয়োজন পড়েনি। কারণ সেসব আসনে শাসকদের দলের প্রার্থী ছাড়া কোন প্রার্থী না থাকায় তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এসব কারণেই জনগণ এ নির্বাচনের নাম দেন ভোটারবিহীন নির্বাচন।
তবে একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ায় সরকারের নেতৃবৃন্দ যে লজ্জা বা অসম্মানবোধ করেছেন, তাও নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ভাষণ দান কালে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বয়কট করে এক হিসাবে ভালই করেছে। সংসদে তাদের সরকার-বিরোধী আবোল তাবোল ভাষণ শুনতে হচ্ছে না। বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যকে যারা আবোল তাবোল বক্তব্য মনে করেন, তারা আদৌ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন কি না সে বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে স্বাভাবিকভাবে। কারণ গণতন্ত্রে সরকারী ও বিরোধী উভয় পক্ষের জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্যকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়া অত্যাবশ্যক।
আসছে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের দিন নির্ধারিত হয়েছে। এ নির্বাচনে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, যেটি দেশের দুই প্রধান দলের অন্যতম, সেটিও অংশ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। দেশের জনগণ গত পাঁচ বছর একদলীয় শাসনে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীদেরকে ভোট দানের জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কিন্তুু বিরোধী দলের প্রতি জনগণের এই আগ্রহকে সরকারী নেতারা মোটেই সুনজরে দেখছেন না। সরকারী দলের দুই নম্বর নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বলেছেন, ভোট ছিনতাই করব না, তাতে মনে হয়, জনগণ তাদের ভোট না দিলেও ভোট ছিনতাইয়ের চিন্তা তাদের মনে এসেছে। এদিকে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকা দরকার আওয়ামী লীগের। এসবে প্রমাণিত হয় আওয়ামী লীগ একাদশ সংসদ নির্বাচনেও যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় যেতে চায়।
এ লক্ষ্যেই তারা ইতোমধ্যে এমন অনেক কাজ করেছে, যাতে তাদের গণতন্ত্র বিরোধী লক্ষ্য সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সমর্থক প্রার্থীদের সামন্য ছুতা-নাতায় গ্রেপ্তার করা। তাদের উপর পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ প্রভৃতি সরকার সমর্থক সংগঠনের কর্মীদের লেলিয়ে দেয়া ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাদের অকেজো করে রাখা প্রভৃতির মাধ্যমে এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীতে অবহেলা করার লক্ষণ সুস্পষ্ট। এসব দেখে মনে হয়, সরকার জনগণের মধ্যে প্রধান বিরোধী দল-বিএনপিসহ দেশের প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিরোধী ঐক্য জোট গড়ে উঠায় অত্যন্ত ভীত-সংকিত। তাই নানাভাবে সরকার-বিরোধী কার্যকলাপ যাতে এগিয়ে যেতে না পারে, সেজন্য চরম গণতন্ত্র বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণে সামান্যতম লজ্জা বোধ করছে না।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য সরকার যে ক্রমেই উন্মুত্ত হয়ে উঠেছে, তার অন্যতম বড় কারণ দশম সংসদ নির্বাচন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বয়কট করায় আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েও সে বিজয়ের জন্য কোন খ্যাতি অর্জন করতে পারেনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারী দল আওয়ামী লীগ যে কোন মূল্যে বিজয়ী হতে চায় এ জন্য যে, এ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি অংশগ্রহণ করায় এই নির্বাচনে বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগ যে মর্যাদা লাভ করবে তার সাথে দশম জাতীয় সংসদে বিজয়ের কোন তুলনাই সম্ভব হবে না। এ কারণেই সরকার এমন নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে, যা বাস্তবে মেরুদন্ডহীন। তাছাড়াও দেশ-বিদেশে বিরোধী দলের উপর জুলুম-নিপীড়নের খবর ছড়িয়ে পড়ায় সরকার একাদশ সংসদ নির্বাচনে যে কোন মূল্যে বিজয়ী হওয়ার নেশা আরো কঠিনভাবে চেপে বসেছে সরকারের মাথায়।
কিন্তু সরকারী নেতৃবৃন্দ ভুল করছেন। প্রকৃত পক্ষে দশম সংসদ নির্বাচন প্রধান বিরোধী দল বয়কট করায় সরকারের যেভাবে বদনাম হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ বিরোধী ঐক্যজোটের বিরুদ্ধে সরকার যদি একই রূপ বিরোধী মনোভাব ও ভূমিকা বজায় রাখে তা হলে সরকার একই ধরনের দুর্নামের ভাগী হবে। সরকার যদি প্রকৃত প্রস্তাবেই এমন নির্বাচন সম্পর্কিত দুর্নাম থেকে মুক্তি পেতে চায়, তার এক মাত্র পথ হলো প্রধান বিরোধী দলসহ বিরোধী জোটের প্রতি অবাধ গণতান্ত্রিক অধিকার স্বীকৃতিতে অটল থাকা।
মনে রাখতে হবে কোন সরকার বিরোধী দল ও বিরোধী জোটের গণতান্ত্রিক অধিকারে স্বীকৃতি দানের মাধ্যমে কখনো-তার আত্মসম্মান বিনষ্ট করে না। অথচ যে কোন মূল্যে বিজয় লাভের জন্য উন্মত্ত হয়ে উঠলে যদি সরকারী দল নির্বাচনে জয়ীও হয় তবুও সে সরকার দেশ বিদেশে স্বৈরতন্ত্রী শক্তি হিসাবে নিন্দিত হয়।
অথচ নির্বাচনকালীন সময়ে সরকার যদি বিরোধী দলের প্রতি সদাচরনের পথ অনুসরণ করে তবে তার পরাজয়ও তাকে সম্মানিত করে এবং পরবর্তী সময়ে এ পরাজয়ই তার জন্য বিজয়ের পথ অনিবার্য করে দেয়। গণতান্ত্রিক বিশ্বে এরকম অসংখ্য দৃষ্টান্ত আমাদের চোখে পড়ে। সরকার ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখুন কোনো পথে চলতে চান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।