নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একাদশে ৯ ব্যাটসম্যান নিয়েও ১ ওভার আগে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ! ভাবা যায়? দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের অভাবে দলের স্কোর বড় হয়নি। সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক বাদে দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেনি কারো ব্যাট। সাকিব ৪৩ বলে করেন সর্বোচ্চ ৬১ রান। এ ছাড়া আরিফুলের ১৭ ও মাহমুদউল্লাহর ১২ রানের সুবাদে ১২৯ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সহজ লক্ষ্যে ৫৫ বল আগেই পৌঁছে যায় তারা। জয় পায় ৮ উইকেটে। সাকিবের মতে, কমপক্ষে ১৭৫-১৮০ রান করা যেত সিলেটের উইকেটে। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল সেই কথাও বলেছেন অধিনায়ক। ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আসেননি সাকিব। ম্যাচ নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি। তবে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছেন অধিনায়ক। তার মতে একমাত্র টস বাদে কোনো কিছুই এদিন পক্ষে আসেনি, ‘একমাত্র টস বাদে আজ (গতকাল) সবকিছুই খারাপ হয়েছে। বাজে ব্যাটিং হয়েছে এবং বাজে বোলিং হয়েছে। উইকেট ভালো ছিল। চাইলেই আমরা অন্তত ১৭৫-১৮০ রান করতে পারতাম।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টির উইকেট আহামরি খারাপ ছিল না। বল ব্যাটে আসছিল ভালোভাবেই। কিন্তু ব্যাটসম্যানরা শুরু থেকেই গতি বুঝতে পারছিলেন না। টাইমিংয়ে গড়বড় হচ্ছিল বারবার। এলোপাথাড়ি শট হয়েছে একাধিক। কেন এমনটা হয়েছে, এমন প্রশ্নে বিরক্তই ঝরল অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘আপনার অন্য ব্যাটসম্যানদের জিজ্ঞাসা করা উচিত কেন তারা ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। আমি তো আর দলের প্রত্যেকের হয়ে জবাব দিতে পারব না। আগেই বলেছি আজ (গতকাল) কিছুই ভালো হয়নি। আমরা যা করেছি সেটার কোনো ফল পাইনি। আমাদের এখান থেকে শেখা উচিত এবং এগিয়ে যাওয়া উচিত।’
সাকিবের শুরুটাও ভালো ছিল না। ব্যাটের কানায় লেগে হয়েছে একাধিক বাউন্ডারি। কিন্তু উইকেটের থিতু হয়ে ব্যাটিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন। আগাসী ব্যাটিং করতে গিয়ে বাকিরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ব্যাটিং কোচ ম্যাকেঞ্জির মতে, কন্ডিশনের পূর্ণ সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ, ‘আমাদের দলে অভিজ্ঞ একাধিক খেলোয়াড় আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের পৃথিবীর সব জায়গায়, সব কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে হয়। এটা আমাদের হোম কন্ডিশন। ওদের বোলারদের থেকে বাড়তি পেস ও বাউন্স ছিল। আমার মতে আমরা আমাদের নিজেদের কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে পারিনি।’
গতি আর ধরণ না বুঝে আক্রমণ করতে গিয়েই নিজেদের বিপদ ডেকে আনেন ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং কোচের মতে, ধীরস্থির হয়ে উইকেটে সময় দিলে আরামে ব্যাটিং করতে পারতেন ব্যাটসম্যানরা, ‘ব্যাটসম্যানরা প্রত্যেকেই প্রায় একই শটে আউট হয়েছে এটা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। কিন্তু আমরা দ্রুত শিখিনি। কটরেল ও টমাস ওপেনিংয়ে বাড়তি গতিতে বোলিং করেছে। আমরা জানতাম ওরা উইকেটে জোরে বল ফেলবে। দেখুন সাকিব কিন্তু দেখিয়েছে চাইলেই গতি ব্যবহার করে রান করা যেত। আমার মতে, আমরা ওদের বিপক্ষে আগ্রাসন দেখানোর চেষ্টা করেছি, উইকেটের স্কয়ারে বেশি খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা খুব সহজেই গতি ব্যবহার করে রান করতে পারতাম।’
টেস্ট আর ওয়ানডেতে জেতার পর দাপট নিয়েই টি-টোয়েন্টিতে নেমেছিল বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং পেয়ে উইন্ডিজকে বিশাল রান চাপানোর নেশায় আগ্রাসী ব্যাট চালাতে গিয়েছেন প্রায় সবাই। কিন্তু প্রয়োগটা ঠিকমতো না হওয়াতেই বাজে হার। ভুলগুলে শুধরে সামনে তাকানোর তাগিদই দিলেন এই প্রোটিয়া কোচ, ‘আমরা ভালো দিন কাটাতে পারিনি। আমাদের প্রত্যেককে নিজস্ব গেম প্ল্যান নিয়ে মাঠে নামতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে দলের প্রত্যেকে যেন অবদান রাখতে পারে। সাকিব আজ ৬০ রানের মতো করেছে। টপ তিনে যারা খেলছে তাদের থেকে ৬০-৭০ রানের ইনিংসের প্রত্যাশা করতে হবে। স্কোর ডিফেন্ড করার জন্য স্কোরবোর্ডে সম্মানজনক স্কোরও থাকতে হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।