বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট-১ এর হেভিওয়েট প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারকালে নানা অভিযোগ করছেন। মহাজোট প্রার্থীর অভিযোগ, জনবিচ্ছিন্ন কিছু নেতা ঐক্যফ্রন্টের নামে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে নেমেছে। অন্যদিকে, নেতাকর্মীদের উপর পুলিশী হয়রানির অভিযোগ জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী বিএনপি নেতা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।
আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিগত ১০ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সন্ত্রাস, বোমাবাজি, হরতাল-অবরোধ তথা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করেছে। তিনি বলেন, মানুষ এখন আর সন্ত্রাস-বোমাবাজি চায় না। তাই, শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে আগামী ৩০ ডিসেম্বর জনগণের রায়ে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের প্রত্যাখ্যান করবে । গতকাল বৃহস্পতিবার নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ড. মোমেন ।
তিনি আরও বলেন, দেশে সুশাসন ও উন্নয়ন দেখে একটি মহল জনমনে ভীতি সঞ্চার ও বিভ্রান্ত করে জনগণকে ভোটের উৎসব থেকে বঞ্চিত করতে চায়। ঐক্যফ্রন্টের নামে জনবিচ্ছিন্ন কিছু নেতা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাদের নীলনকশা বস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছে।
এসব মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে দেশের শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার পক্ষে ভোট দিয়ে আবার আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটকে বিজয়ী করতে সিলেট-১ আসনের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান এ কে আব্দুল মোমেন।
সকালে সিলেট নগরীর মিরবক্সটুলার নয়াসড়ক এলাকায় গণসংযোগ, ১২টায় নগরীর একটি হোটেলের হলরুমে সিলেটের ক্রীড়া সংগঠকদের সাথে মতবিনিময়, বিকেল ৪টায় নগরীর ১৯নং ওয়ার্ডে মহিলা সমাবেশ, বিকেল সাড়ে ৫টায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ১০টি গণসংযোগ টিমের সাথে মতবিনিময়, সন্ধ্যায় নগরীর সোবহানীঘাটস্থ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবলীগের কর্মীসভায় যোগদান, সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর কাজলশাহ এলাকায় ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসভা, রাত ৮টায় ৪নং ওয়ার্ডের মজুমদারী এলাকায় নির্বাচনী সভা, রাত ৯টায় ব্রাহ্মশাসন নয়াবাজার এলাকায় ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন ড. মোমেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম ড. আহমদ আল কবির, অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফয়জুল আনোয়ার আলাউর, অধ্যাপক জাকির হোসেন, জেলার যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, প্রমুখ।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট লিখিত করেন বিএনপি প্রার্থী আব্দুল মুক্তাদির। লিখিত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রতীক বরাদ্দের পর আমরা গণসংযোগসহ প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেছি। কিন্তু প্রচারণা কার্যক্রমে আমরা পুলিশ প্রশাসনের চরম বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। ইউনিফর্মধারী ও সাদা পোষাকে পুলিশ সদস্যরা আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে চলে যাবার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমার নির্বাচনী প্রচার কাজে নিয়োজিত কর্মী সমর্থকদের বাসা বাড়িতে প্রতিনিয়ত তল্লাশী চালানো হচ্ছে এবং কর্মী সমর্থক ও তাদের স্বজনদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া, নির্বাচনী প্রচারকাজে নিয়োজিত মাইক কেড়ে নেয়া ও মাইকের সংযোগ কেটে দেয়ার মত ঘটনা প্রায় প্রতিদিন ঘটছে। আমার কর্মী সমর্থকদের গ্রেফতার করে পুরনো বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে, যা প্রয়োজনে প্রমাণসহ আপনার কাছে উপস্থাপন করতে পারবো। পুলিশের এ ধরনের আচরণ আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য অন্তরায়।
আসন্ন একাদ্বশ নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীর করে অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী খন্দকার মুক্তাদির।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।