Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোহিঙ্গাদের উপর নৃশংসতায় দায়ীদের বিচার চায় যুক্তরাষ্ট্র

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৬ পিএম

রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মিয়ানমারের সব মানুষের অবস্থার উন্নতি চায় যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নৃশংসতা চালানোর জন্য যারা দায়ী তাদের বিচার দাবি করে তারা। যুক্তরাষ্ট্র এখনও এমন সব পদক্ষেপের ওপর দৃষ্টি রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এবং স্পেশাল ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেছেন যথাক্রমে উপ মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো ও আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক এম্বাসেডর এট লার্জ সামুয়েল ডি ব্রাউনব্যাক।

মঙ্গলবার পাকিস্তান, চীনসহ বেশ কতগুলো দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের দায়ে কালো তালিকাভুক্ত করে মন্ত্রণালয়। ব্রিফিংয়ে এসব বিষয় উঠে আসে। রবার্ট পালাদিনোর কাছে একজন সাংবাদিক মিয়ানমারের রাখাইন ইস্যু তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালিয়েছে এমন দুটি রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা ব্রিফিং পেয়েছি।

মিয়ানমারে গণহত্যা চালানো হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি আরো তদন্ত করবে? আরো রিপোর্ট আছে যে, যেসব রোহিঙ্গা এখনো মিয়ানমারে আছেন তারাও রয়েছেন গণহত্যার হুমকিতে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কি পদক্ষেপ নিচ্ছে?
এ প্রশ্নের জবাবে রবার্ট পালাদিনো বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে ওই ভয়াবহ নৃশয়সতার বিষয়ে কথা বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ওইসব নৃশংসতাকে বলা হয়েছে জাতি নিধন। এখন যুক্তরাষ্ট্র যা করছে তা হলো, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও মিয়ানমারের সব মানুষের অবস্থার উন্নতিতে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে তার দিকে নজর রাখা। যারা নৃশংসতা চালিয়েছে তাদের বিচারের দিকে নজর দেয়া। আমরা এসব বিষয়েই নজর রাখছি। মিয়ানমারের সংঘাতগুলোর মূল কারণ ও এর দুর্ভোগের বিষয়ে আমরা সহজ করার পথ খুঁজছি। একই সঙ্গে মিয়ানমারে অধিক পরিমাণে মানবিক সহায়তার আহ্বান জানাচ্ছি। ওদিকে প্রায় একই রকম প্রশ্নের উত্তরে সামুয়েল ডি ব্রাউনব্যাক বলেন, মার্কিন প্রশাসন মিয়ানমার পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় কথা বলেছে। এমন কথা বলেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি ও আমি নিজে। আমি বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে গিয়েছিলাম। আমরা সম্প্রতি মিয়ানমারের ৫ জন জেনারেলের বিরুদ্ধে এবং দুটি সামরিক ইউনিটের বিরুদ্ধে অবরোধ দিয়েছি। এর আগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতাকে জাতি নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাই এ বিষয়টিতে উচ্চ হারে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ