নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সহজ ক্যাচ ধরতে গিয়ে বুকে আঘাত লেগে মাঠ ছাড়লেন ইমরুল কায়েস। তার পরিবর্তে ফিল্ডিংয়ে নেমে দুটি ক্যাচ ছাড়লেন নাজমুল ইসলাম অপু। রোমাঞ্চ উপহার দিয়ে বাংলাদেশও ম্যাচটা হারল ৪ উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজে ফিরিয়েছেন শাই হোপ।
জিতলেই তিন ম্যাচের সিরিজ নিশ্চিত করত বাংলাদেশ। পাঁচ সিনিয়র টাইগার খেলোয়াড়ের শততম ম্যাচটি তাতে হতে পারত রঙিন। পঞ্চপাÐবের চার ব্যাটসম্যানের মিলিত প্রচেষ্টায় আড়াইশোর্ধো সংগ্রহ গড়ে মাশরাফির দল। মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান করেন হাফসেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকেও এসে আস্থার ৩০ রান। কিন্তু উইকেট হাতে রেখেও শেষদিকে সংগ্রহটা বাড়াতে পারেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ দুই ওভারে তারা নিতে পারেন মাত্র ৫ রান। সংগ্রহটা তাই আটকে যায় ৭ উইকেটে ২৫৫ রানে।
মিরপুরের উইকেটে আড়াই’শর উপরে লক্ষ্য সব সময়-ই চ্যালেঞ্জিং। সেই চলেঞ্জে ক্যারিবীয়রা জিতে গেল শ্রেফ শাই হোপের ব্যাটে ভর করে। ১২ বলে যখন ২২ রান দরকার তখন মুস্তাফিজ এসে দিয়ে গেলেন ১৬। অথচ নিজের আগের ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন তিনিই। শেষ ওভারে ৬ রানের হিসাবটা ২ বল হাতে রেখেই মিলিয়ে নেন হোপ এবং কিমো পল। হোপ অপরাজিত থেকে যান ১৪৪ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১৪৬ রানে। আগের একমাত্র সেঞ্চুরিটি ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ক্যারিবীয় ইনিংসে ত্রিশোর্ধো রান করতে পারেননি আর কেউই। যে যখন এসেছেন তাকে নিয়েই দলকে জয়ের বন্দরে নিযে যান হোপ। আর তাতে চূর্ণ হয় এক ম্যাচ হাতে রেখে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের আশা। শেষ উইকেটে পলের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েন হোপ, যেখানে পলের অবদান মাত্র ১৮। এর আগে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট জুটিতে ড্যারেন ব্রাভো ও মার্লন স্যামুয়েলসের সঙ্গে গড়েন দুটি কার্যকরী ষাটোর্ধো রানের জুটি।
বিষাদের পূর্বাভাসটা ম্যাচের শুরুতেই পেয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। পরের ওভারে বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। সেখান থেকে মুশফিক-তামিম গড়েন প্রতিরোধ। ওয়ানডেতে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি তিন অঙ্ক ছোঁয়া জুটি গড়ার কীর্তিও গড়েন তারা। এর আগে ৭৪ ইনিংসে জুটি বেঁধে চারটি শতরানের জুটি গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিক। ৪২ ইনিংসেই তাদের পেছনে ফেলে দিল মুশফিক-তামিম জুটি। ২৪তম ওভারে তামিমের বিদায়ে ভাঙে ১১১ রানের চমৎকার জুটি। তবে ৭ রানের ব্যবধানে দুজনই ফিরলে আবারো ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। সাময়িক ধাক্কাটা মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সামাল দেন সাকিব। তবে ইনিংসটা লম্বা হতে পারতো আরও। সাকিব যখন আউট হন তখন দলের রান ছিল ৪৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৯ রান। কিন্তু শেষ দিকে রান আসেনি প্রত্যাশিতমত। শেষ ৫ ওভারে আসে ২৬ রান।
বাংলাদেশের বোলিংটা খারাপ ছিল না। খারাপ করে দিযেছেন মূলত ফিল্ডাররা। বাজে ফিল্ডিংয়ে সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে ক্যাচ মিস। ম্যাচ শেষে পরাজয়ের কারণ হিসেবে ক্যাচ মিসকেই বড় কারণ হিসেবে দেখেছেন মাশরাফি, ‘আমরা দ্রæত উইকেট হারিয়েছি। মিডিল অর্ডারেও সেট ব্যাটসম্যান দ্রæত আউট হয়েছে। তাছাড়া কিছু ক্যাচ হাতছাড়া হওয়ার চরম মুল্য দিতে হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।