Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মোহামেডানের বিদায়

শেষ আটে চট্ট.আবাহনী ও রহমতগঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ফেডারেশন কাপের মতই স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিলো ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ফলে ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ আটে উঠলো চট্টগ্রাম আবাহনী ও রানার্সআপ রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে রহমতগঞ্জ ৩-০ গোলে হারায় নবাগত নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জোনপিও দু’টি এবং স্থানীয় মিডফিল্ডার রাকিবুল ইসলাম একটি করে গোল করেন। এই জয়ে রহমতগঞ্জ কোয়ার্টার ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখলে বাকি কাজটি করে মোহামেডান। একই দিন সন্ধ্যায় এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে মোহামেডান গোলশূণ্য ড্র করে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে। ফলে তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেয়ে চট্টগ্রাম আবাহনী গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ৪ পয়েন্ট পাওয়া রহমতগঞ্জ রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয়। আর সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে নোফেল ও ২ পয়েন্ট পাওয়া মোহামেডান ছিটকে পড়ে টুর্নামেন্ট থেকে।
আগের ম্যাচে মোহামেডানকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে চমক দেখানো নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব কাল রহমতগঞ্জের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। যদিও গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল রহমতগঞ্জ। আর দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে হেরে হতাশায় ডুবেছিল ক্লাবটি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসে ঠিকই ঘুরে দাঁড়ালো পুরান ঢাকার দলটি। নিজেদের দিনে তারা কতটা ভয়ংকর তা প্রমাণ করলো রহমতগঞ্জ। মোহামেডানকে হারানো সেই নোফেলকেই কিনা বিধ্বস্ত করে গ্রুপ রানার্সআপ হলো তারা।
রহমতগঞ্জকে এই জয় এনে দেয়ার নায়ক তাদের কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জোনাপিও। ২০১১ সাল থেকে ঢাকার মাঠে খেলছেন এই বিদেশী। ওই বছর প্রথম ফরাশগঞ্জে খেলেন। ২০১৬ সালে রহমতগঞ্জে নাম লেখালেও পরের মৌসুমে যোগ দেন ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবে। এ বছরের শুরুতে কলকাতার আই লিগের দল চার্চিল ব্রাদার্সে খেললেও মৌসুম শুরুতে দলবদল করেন রহমতগঞ্জের পক্ষে। হয়তো এবারের মৌসুমে নিজের সেরা খেলাটিই খেললেন জোনাপিও কাল নোফেলের বিপক্ষে।
তবে নোফেলকে বিধ্বস্তের শুরুটা করেন মিডফিল্ডার রাকিবুল ইসলাম। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোল করে তিনিই এগিয়ে নেন দলকে (১-০)। আর ৬৩ ও ৮০ মিনিটে টানা দু’গোল করে রহমতগঞ্জকে বড় জয় এনে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠান সিও জোনাপিও (৩-০)।
রহমগঞ্জের এই ব্যবধানের জয়ে পরের ম্যাচে অসাধ্য সাধন করতে হতো মোহামেডানকে। কারণ গোল পার্থক্যে এগিয়ে গেছে রহমতগঞ্জ। শেষ আটে যেতে হলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৫-০ গোলে হারাতে হবে সাদাকালোদের। এমন সমীকরণে কাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে খেলতে নামে মোহামেডান। কিন্তু অসাধ্য সাধন করতে পারেনি সাদাকালোরা। ম্যাচটি গোলশূণ্য অমিমাংসিতভাবে শেষ হলে স্বাধীনতা কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় মোহামেডানকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোহামেডান

৯ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ