Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিক্ষক মুক্তির দাবিতে ভিকারুননিসায় আন্দোলন অব্যাহত

আজ থেকে ক্লাস বর্জনের হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

অরিত্রী অধিকারীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার শিক্ষক হাসনা হেনার মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের একদল শিক্ষার্থী। গতকাল (শনিবার) সকাল ১১টার দিকে বেইলি রোডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সামনে পোস্টার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে তারা। কর্মসূচিতে থাকা একাদশ শ্রেণির ক্যাপ্টেন আনিকা ইশরাফ ইক্বরা বলেন, শিক্ষক হাসনা হেনাকে মুক্তি না দিলে তারা রোববার থেকে ক্লাস বর্জন করবেন। যদিও তাদের বিক্ষোভের মধ্যেই গতকাল ভিকারুননিসনা নূন স্কুল ও কলেজে একাদশ শ্রেণির ক্লাস ও অন্য শ্রেণিগুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। অরিত্রী আত্মহত্যা করার পর শিক্ষার্থীদেরই বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে এই শিক্ষার্থীর বাবার করা মামলায় গত বুধবার গ্রেফতার করা হয় হাসনা হেনাকে। এরপর হাসনা হেনার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে ‘ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্রীবৃন্দ’ ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী। শুক্রবারের পর শনিবারও তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যায়। দুই ঘণ্টার বেশি অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে দুপুর দেড়টার পর রাস্তা ছাড়ে তারা। এ সময় ছাত্রীদের পক্ষে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া মাহমুদ মৃত্তিকা ব্রিফিংয়ে রোববার থেকে ক্লাস বর্জনের সঙ্গে সকাল ৮টা থেকে স্কুলের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, হাসনা হেনা আপা নির্দোষ- এটার সব থেকে বড় প্রমাণ সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে আমরা দেখেছি যে, আপার সঙ্গে অরিত্রীর বাবা বা মায়ের কোনো কথোপকথন হয়নি। এছাড়া প্রথম থেকে অরিত্রীর বাবা বা মা হাসনা হেনা আপার কথা বলেননি একবারও। ছয় দফা দাবিতেও হাসনা হেনা আপার নাম কোথাও ছিল না।
হাসনা হেনার পক্ষে বিক্ষোভকারী এই শিক্ষার্থীদের হাতে থাকা বিভিন্ন পোস্টারে লেখা ছিল- ‘হাসনা হেনা আপার মুক্তি চাই’, ‘জাতির কারিগর কেন কারাগারে’, ‘লিখতে শিখিয়েছে যে হাত, সে কেন খাবে জেলের ভাত’ ইত্যাদি। এই শিক্ষার্থীরা অরিত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘সুষ্ঠু বিচার’ চাওয়ার কথা জানিয়েই বলছে, এই ঘটনায় হাসনা হেনার কোনো দায় নেই। হাসনা হেনার বাইরে অন্য দুই শিক্ষক দোষী কি না, তাও তদন্তের মাধ্যমে বের করার দাবি জানান মৃত্তিকা। এই শিক্ষার্থী বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে আমরা উনাদের সঙ্গে কথোপকথন হচ্ছে, এটা দেখেছি। কিন্তু কী কথা হয়েছে, সেটা শুনিনি। তাই আমরা বলতে পারব না, উনারা দোষী না কি নির্দোষ। এটা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বের হবে। অরিত্রী যে শ্রেণিতে পড়তেন, সেই নবম শ্রেণির শ্রেণিশিক্ষক ছিলেন হাসনা হেনা। আন্দোলনের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাকে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয়টির পরিচালনা পর্ষদ, তার এমপিও বাতিল করেছে মন্ত্রণালয়। অরিত্রী গত সোমবার আত্মহত্যা করার পর থেকে উত্তেজনা চলছে রাজধানীর নামি এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়ার পর তার বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করেছিলেন’ অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ