বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর সদর-০৩ আসনের ইশানগোাপালপুর ইউনিয়নে বিএনপির পক্ষে কাজ করার অপরাধে দুই বিএনপি নেতাকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধার সময়। এরা হলেন ওর্য়াড বিএনপি নেতা লুৎফর খাঁ ও ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হাবুল সেক।
এ ব্যাপারে আহত লুৎফর খাঁ বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি তার বাড়ীর সামেন খেয়াঘটা এলাকায় একটি মুদি দোকানে কথা বলার সময় একদল যুবক তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে পাশের এলাকার একটি কলা বাগানে পিস্তল ঢেকিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তার দুই পায়ের বিভিন্নস্থানে কোপ ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে হকিস্টীক দিয়ে পিটানো হয়। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে সেখানে ফেলে রেখে যায় তারা। স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে আশাঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
অপরদিকে একই সময় ইউনিয়নের বুদাই খাঁর দোকানে হাবুল সেক নামে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা চা খাওয়ার সময় ৬টি মটরসাইকেল নিয়ে একদল যুবক তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে পাশের এলাকার নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে তার উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। এদিকে এঘটনার পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ভীতির সৃষ্টি হয়েছে এই আসনে।
হাসপাতালে আহত নেতাকর্মীদের দেখতে যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কন্যা চৌধুরী নায়াবা ইউসুফ, শহর বিএনপির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ. কে কিবরিয়া স্বপন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান চৌধুরী রঞ্জন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এএম ইউসুফ, রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক ভিপি মো. সেলিম হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহরিয়ার শিথিলসহ নেতৃবৃন্দ। এসময় নায়াবা ইউসুফ সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন আমাদের নেতাকর্মীদের কিভাবে হামলা-নির্যাতন হচ্ছে। মাঠে কোথায় দাড়াতে দিচ্ছে না। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সাধারণ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভয় পাবার কিছু নেই। ভোটের মাঠে সকল হামলাকে প্রতিহত করে মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করুণ। স্বচ্ছ-সুন্দর নির্বাচন হলে ধানের শীষ প্রতীকে চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ ব্যাপক ভোটে জয়লাভ করবে।
এদিকে, ফরিদপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হামলার আতঙ্কে আছেন। অনেক নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। গ্রেফারকৃত নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যরা জানান, ১/২ বছর আগের পেন্ডিং মামলায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হচ্ছে। আমাদের কথা একটাই এরা যদি দোষীই হয় এতদিন কেন গ্রেফতার করে নাই। এখন নির্বাচনে দলীয় কাজ করবে বিধায় ঈর্শান্বিত হয়ে এই গ্রেপ্তার হামলা চালাচ্ছে।
গতকাল শনিবার পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের মধ্যে রয়েছে আলীয়াবাদ ইউনিয়নের সভাপতি হেলালউদ্দিন সিকদার, কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদ সভাপতি শাহজাহান মোল্লা, রাজেন্দ্র কলেজ শাখার ছাত্রদল সভাপতি ইমরুল রোমান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।