পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৫ দিন পর হঠাৎ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। তবে সেমিনার বা সমাবেশে উপস্থিত হয়ে নয়; তিনি বক্তৃতা করলেন পর্দার আড়ালে থেকে মোবাইলে। গতকাল জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি মোবাইল ফোনে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন। এর আগে গত ২০ নভেম্বর গুলশানের এক কমিউনিটি সেন্টারে দলীয় প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করে তিনি অসুস্থতার নাম করে পর্দার আড়ালে চলে যান।
অসুস্থ অবস্থায় পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা নিতে না দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ বলেন, অনেক অত্যাচার অবিচার সহ্য করেছি। তারপরও আমি বেঁচে আছি। আমাকে দমিয়ে রাখতে কেউ পারেনি, পারবে না। আমাকে চিকিৎসা নিতে দেয়া হচ্ছে না, দেশের বাইরেও যেতে দেবে না। কিন্তু আমি মৃত্যুকে ভয় করি না। বেলা ১২টার দিকে সিএমএইচ থেকে বারীধারার ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’ বাসায় ফেরার পথে গাড়িতে বসেই নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখন কঠিন সময় পার করছে, আমরা ভেঙে পড়িনি। আগামীতে হয়তো আরো কঠিন সময় পার করতে হবে। সেজন্য জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কেউ তোমরা দল ছেড়ে যেও না, কেউ নিরুৎসাহিত হয়ো না। সবাই এমপি হতে পারে না, সবাইকে দলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ, সুদিন আমাদের আসবেই। ভালো থেকো, সবাই।
গণআন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এই দিনে ক্ষমতাচ্যুত হন এইচ এম এরশাদ। পরবর্তীতে দিবসটি সংবিধান সংরক্ষণ দিবস হিসেবে পালন করে সাবেক এই স্বৈরশাসকের দল জাতীয় পার্টি। টেলিফোন বক্তৃতায় এরশাদ বলেন, তোমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে দলকে শক্তিশালী করো। নতুন মহাসচিবকে সহায়তা করো। নতুন মহাসচিবের নির্দেশনা মেনে দলকে আরো গতিশীল করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে যাবো, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অনেক ভালো করবে। আমি বেঁচে আছি, দলকে বিজয়ের পথে নিয়ে যাবো আমরা। তোমরা জাতীয় পার্টির পতাকাতলেই থেকো, কেউ যেন দল না ছাড়ে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবিধান সংরক্ষণ দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, পার্টি চেয়ারম্যান ডাক্তারের পরামর্শেই আছেন। মেডিকেল বোর্ড মনে করলে, তিনি সিঙ্গাপুরেই চিকিৎসা নেবেন। এরশাদ রাজনীতিতে আছেন- তিনিই জাতীয় পার্টি পরিচালনা করছেন। দলের গুরুত্বপূর্ণ সকল সিদ্ধান্তই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নিচ্ছেন। স্বাধীনভাবেই তিনি রাজনীতি করছেন এবং দল পরিচালনা করছিন।
সভাপতির বক্তৃতায় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় পার্টি একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। জাতীয় পার্টি চায় সাধারণ মানুষ যেন নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। ভোট ডাকাতি ও ব্যালট ছিনতাই জাতীয় পার্টি বিশ^াস করে না। নির্বাচন প্রসঙ্গে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় পার্টি ১৪ দলের সাথে অংশ নিয়ে মহাজোটের মাধ্যমে নির্বাচন করবে।
জাতীয় পার্টির সংরক্ষণ দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য নূর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী, সুনীল শুভ রায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, উপদেষ্টা- এডভোকেট. রেজাউল ইসলাম ভূঁঞা, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সদস্য সচিব মোঃ বেলাল হোসেন, শ্রমিক পার্টির সভাপতি-একেএম আশরাফুজ্জামান খান, ছাত্রসমাজের আহবায়ক মোড়ল জিয়া প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।