Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

যৌতুকের টাকা না পেয়ে নববধূকে সিগারেটের ছ্যাকা

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ পিএম

যৌতুকের টাকা না পেয়ে নববধুর উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করেছে স্বামী সাব্বির হোসেন। টাকার জন্য স্ত্রী শারমিন আক্তার সাথীর গলায় ছুরি চালিয়ে জখম করেছে। দিনের পর দিন জলন্ত সিগারেট দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধু সাথীর বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শ্রীপুর। তিনি ওই গ্রামের আনসার ব্যাটলিয়ন সদস্য মেহেদী হাসান শওকতের মেয়ে। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এসে বুধবার দুপুরে সাথী তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পাষন্ড স্বামী কৃর্তক নির্যাতনের ক্ষত স্থানগুলো দেখান। এ সময় তিনি আদালতে দায়ের করা ৩টি মামলার তথ্য সাংবাদিকদের দেন। সাথী জানান, একটি (শৈল সিআর নং ৩১৬/১৮) মামলায় সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা দিয়েছেন। এ ছাড়া পারিবারিক ও নারী শিশু নির্যাতন আদালতের দুইটি (এনটিসি-২৫৫/১৮ ও শৈল আঃ ৮৫/১৮) মামলা তদন্তনাধীন রয়েছে। কিন্তু সাব্বির আর্মস এপিবিএনর এর কনস্টেবল হওয়ায় আদালতের আদেশ পুলিশ তামিল করছে না। সাব্বির এখন ঢাকার উত্তরার পুর্ব থানায় ১ আর্মস এপিবিএন (নং কনস্টেবল ১৪৫৪) হিসেবে বহাল তবিয়তে কর্মরত। মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, গত ১৬ মে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গোবরা গ্রামের সাব্বির হোসেনের সাথে শারমিন আক্তার সাথীর ৫ লাখ টাকার দেন মোহরে বিয়ে হয়। সাব্বির ওই গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। বিয়ের পর সাব্বিরকে দুই লাখ টাকার যৌতুক প্রদান করেন সাথীর পিতা মেহেদী হাসান শওকত। এরপর তিনি বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকার জন্য নির্যাতন করতো। দিন যত যায় ততই নির্যাতনে মাত্রা বাড়তে থাকে সাথীর উপর। জলন্ত সিগারেটের ছ্যকায় ক্ষত বিক্ষত হয় সাথীর শরীর। এতো কিছুর পরও সাথী সংসার করার জন্য স্বামীর সাথে ঢাকার উত্তরার দিক্ষনখান আমতলা শাহী মসজিদের পাশে (বাসা নং ২৬০) ভাড়া বাসায় চলে যান। সেখানে নিয়ে বাসায় একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত ও গলায় ছুরি চালায় সাব্বির। রক্তাক্ত জখম হয় সাথী। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আশরাফুল ইসলামের কাছে চিকিৎসা দেওয়া হয়। নিকটস্থ থানায় এ বিষয়ে গত ৭ নভেম্বর একটি জিডি করেন সাথী। জিডি নং ৪০৪। জিডি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এসআই আসমাউল হুসনাকে নির্দেশ দেন ওসি। কিন্তু সাব্বিরের প্রভাবে সব কিছুই থেকে গেছে। নির্যাতিত গৃহবধূ স্বামীর ক্ষত চিহ্ন নিয়ে শৈলকুপা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে পড়ে আছে। আদালতে মামলা করেও তিনি প্রতিকার পাচ্ছেন না। উপরন্ত পাষন্ড স্বামী সাব্বিরের জীবন নাশের হুমকীতে সর্বক্ষন তটস্থ থাকছে সাথীর পরিবার।



 

Show all comments
  • MAHMUD ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৩:১৩ পিএম says : 0
    This type of husband like as wild. How can any husband torture his wife because she is life partner.where is her fault? Why not make the law against the "JOUTAK". Islam never support About "JOUTAK, that is fully prohibited.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যৌতুক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ