মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের কারণে দিল্লির সরকারকে ২৫ কোটি রুপি জরিমানা করেছে ভারতের পরিবেশ বিষয়ক আদালত 'ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল'। রাজ্যটিতে বায়ুদূষণের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়া এবং সরকার তা আটকাতে ব্যর্থ হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি)। খবর দ্য ইকনোমিক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল পারিশ্রমিক থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ কেটে নিয়ে তা দিয়ে এই জরিমানা মেটানো হবে। আর যদি দিল্লি সরকার এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে প্রতি মাসে এর ওপর বাড়তি ১০ কোটি রুপি জরিমানা বসানো হবে।
এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যে জানা যায়, রাজ্যের ফরিদাবাদ, গুরু গ্রাম, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদের মতো অঞ্চলে বায়ুদূষণের মাত্রা বিপদসীমার উপর দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া বিগত কয়েক সপ্তাহ যাবত দিল্লির বহু এলাকায় এই বায়ুদূষণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের এক সমীক্ষায় বলা হয়, ২০১৬ সালে এই দিল্লিতে বায়ুদূষণের ফলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বর্তমানে এর সংখ্যাটা আগের হিসেবকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে।
পরিবেশ আদালতের (এনজিটি) এই জরিমানার ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতর ইতোমধ্যে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হয়ে গেছে। বিজেপির দিল্লি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি এ জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করেছেন। তবে কেজরিওয়াল এ দূষণের দায় চাপিয়েছেন পাঞ্জাব রাজ্যের কৃষকদের ওপর। তার মতে, ‘পার্শ্ববর্তী পাঞ্জাব রাজ্যে ফসল কেটে নেওয়ার পর মাঠে পড়ে থাকা অবশিষ্ট অংশ জ্বালিয়ে দেয় কৃষকরা। মূলত সেখান থেকেই এ দূষণের সূত্রপাত।’
উল্লেখ্য, এ জরিমানা শুধু দিল্লিকেই নয়, বায়ুদূষণের জন্য জরিমানার সম্মুখীন হয়েছে দেশটির আরও একাধিক রাজ্য। কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গকেও ঠিক একই কারণে জরিমানা করেছিল পরিবেশ আদালত (এনজিটি)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।