Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পার্বত্য এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ বাড়ছে

ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন মন্ত্রিসভার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ট্রেড ইউনিয়ন করার বিধান রেখে বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৮ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। দ্য চিটাগং হিল ট্রাকস (ল্যান্ড অ্যাক্যুজেশন) রেগুলেশন, ১৯৫৮’ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রীপরিষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিকাল ৫টার দিকে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। শফিউল আলম বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন বা শ্রমিকদের এই সংগঠনের নাম হবে শ্রমিককল্যাণ সমিতি। এই সমিতির গঠনতন্ত্র শ্রমিকরা নিজেরাই বানাবেন। মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, গত ১৩ বছর ধরে এই আইনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হলো। শ্রম আইন-২০০৬, আইএলও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডার সঙ্গে পরামর্শের পর সমন্বয় করে এই আইনটি করা হয়েছে। মন্ত্রীপরিষদ সচিবের দেওয়া তথ্য মতে, এ আইনে যে বিধান রয়েছে তা হলো। এই আইনের মূল বিষয় হলো-শ্রমিকদের ২০ শতাংশ সম্মতি দিলেই শ্রমিক সংঘ করা যাবে। বেপজার পাশাপাশি শ্রম পরিদফতরের পরিদর্শকরাও এই কারখানা পরিদর্শন করতে পারবেন। আগে শুধু বেপজার পরামর্শকরাই ইপিজেডের কারখানা পরিদর্শন করতে পারতেন। ইপিজেডের অভ্যন্তরে স্থাপিত শিল্প কারখানায় শ্রমিকদের কোনও দাবি আদায়ের ক্ষেত্রে ধর্মঘট বা আন্দোলন-সংগ্রাম করার প্রয়োজন হলে দুই-তৃতীয়াংশ শ্রমিকের সম্মতি থাকলেই চলবে। এর আগে আরও বেশি শ্রমিকের সম্মতি লাগতো। কারখানায় চাকরি করা অবস্থায় কোনও শ্রমিকের ৬০ বছর পূর্ণ হলে, তার চাকরি জীবনের প্রতি বছরের জন্য ৪৫ দিনের বেতনের হিসাবে টাকা পাবেন। আগে শ্রমিকরা এখানে ৩০ দিনের বেতনের সমান টাকা পেতেন বলে জানান তিনি। এছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মহাপরিচালকের পদ পরিচালক করতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) আইন, ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে
মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ইউনেস্কোর প্রধান মহাপরিচালক। আমাদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ক্যাটাগরি-২ প্রতিষ্ঠান, এখানকার প্রধানও মহাপরিচালক। ক্যাটাগরি-২ এর বিধান হলো এখানকার (মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট) যিনি প্রধান হবেন তিনি হবেন পরিচালক। এজন্য মহাপরিচালককে ‘পরিচালক’ করা হয়েছে। যেখানে ‘মহাপরিচালক’ আছে যেখানে ‘পরিচালক’ এবং যেখানে ‘পরিচালক’ আছে সেখানে ‘অতিরিক্ত পরিচালক’ হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের ২২ সদস্যের পরিচালনা কমিটি ছিল। কিন্তু ইউনেস্কোর রুল হলো ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি হবে, সেটা ওনাদের (ইউনেস্কো) নির্ধারিত করে দেওয়া আছে। এর বাইরে যাওয়া যাবে না
দক্ষ বৈমানিক ও বিমান প্রকৌশলী তৈরি করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
তিনি বলেন, এটা আমাদের দেশের জন্য একটা নতুন। অ্যারোস্পেসৃ শুধুমাত্র এমআইএসটিতে (মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি) একটা ডিপার্টমেন্ট আছে। আর কোথাও কোনো সুযোগ নেই, এমনকি বুয়েটেও নেই। অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংকে সম্প্রসারিত করার জন্য এ আইনটি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির গঠন নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অন্যান্য ইউনিভার্সিটি যেরকম, একেবারে হুবহু একই রকম অনুসরণ করা হয়েছে। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। এ বিষয়ে অর্ডিন্যান্স (অধ্যাদেশ) জারি হবে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস ঢাকার পূর্বাচল যাওয়ার পথে স্থাপিত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সমতলের মতো পার্বত্য তিন জেলাতেও জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে সমতা তৈরি করতে একটি অধ্যাদেশের সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়েছে। দ্য চিটাগং হিল ট্রাকস (ল্যান্ড অ্যাক্যুজেশন) রেগুলেশন, ১৯৫৮’ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় সরকারি কাজে ভূমি অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিগ্রস্তরা বাজার মূল্যের পাশাপাশি অতিরিক্ত আরও ২০০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ পাবেন। বেসরকারি কাজে অধিগ্রহণ করলে ক্ষতিপূরণ পাবে বাজারমূল্যের সঙ্গে আরও ৩০০ শতাংশ। বর্তমানে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় বাজার মূল্যের সঙ্গে আরও মাত্র ১৫ শতাংশ। মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, সমতলে ৬১টি জেলার সঙ্গে মিল রেখে এই ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণটা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি আজকের সভায় সংবাদপত্রের কর্মীদের জন্য ‘নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড ২০১৮’ এর সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছিল। তবে মন্ত্রিসভা সুপারিশ পর্যালোচনার জন্য পাঁচজন মন্ত্রীর সমন্বয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। সচিব বলেন, এই কমিটি যে সুপারিশ দেবে তা গেজেট আকারে জারি করা হবে। আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইপিজেড

১৫ অক্টোবর, ২০২২
১২ জানুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ