পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কত আসনে প্রার্থী দিচ্ছে এটা দলের নীতি নির্ধারকদের কেউ জানেন না। এমনকি দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদও জানেন না তার দলে এবার প্রার্থী সংখ্যা কত হবে। ২১০ আসনে দলের ২৩৩ জন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও সবার মধ্যেই প্রার্থী হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। দলটি কত আসনে প্রার্থী দেবে তা এখন নির্ভর করছে মহাজোটের প্রধান শরীক আওয়ামী লীগের অনুকম্পার ওপর।
সূত্র জানায়, অসুস্থ এরশাদ বর্তমানে প্রেসিডেন্ট পার্কে রয়েছেন। গতকাল দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বলেছেন, এরশাদের খবর বাতাসে উড়ছে। তিনি নির্বাচনে থাকবেন এবং মহাজোটের ব্যানারেই নির্বাচন করা হবে। আসন নিয়ে দলের অভ্যন্তরে বিরোধ এবং আসন বণ্ঠন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের থেকে টাকা নিয়ে ‘বাণিজ্য’ এবং আসনের নিশ্চয়তা দেয়ার ঘটনায় মিডিয়ায় যখন তোলপাড় চলছে; তখন গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ‘মনোনয়ন বাণিজ্য এবং দলের অফিসে তালা’ নিয়ে মিডিয়ায় যেসব খবর প্রচার হয়েছে তা ভুয়া। মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারও একই দাবি করেছেন। যদিও তার এবং স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্মার কুশপুতুল পোড়ানো এবং বরিশালে ঝাড়– মিছিল নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দীর্ঘদিন থেকে বলে আসছেন, মহাজোটের শরীকদের জন্য ৭০ আসন ছাড়া হবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মহাজোটের শরিক এবং অনুগত জোট-ফ্রন্ট-অ্যালায়েন্স-জাকের পার্টিসহ শতাধিক দলের জন্য মাত্র ৩৬টি আসন ছেড়ে বাকীগুলোতে নৌকার প্রার্থী দেয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টি যেসব আসনে প্রার্থী দিয়েছে এর মধ্যে মাত্র ২৫টি আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। জাপার দাবিকৃত মহাজোট থেকে ৪৭টি আসনের যে তালিকা গণমাধ্যমে এসেছে তার মধ্যে অন্য আসনগুলোয় আওয়ামী লীগ অথবা মহাজোটের অন্য শরিকদের প্রার্থী রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, তিনশ’ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৬টি আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি। এর মধ্যে ২৫টিতে জাতীয় পার্টি ও অন্য ১১টি ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু) জাসদ (আম্বিয়া), আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জেপি, তরিকত ফেডারেশন, জাকের পার্টি প্রার্থী দিয়েছে। জাপার পক্ষ থেকে তাদের পার্টির প্রার্থীদের যে তালিকা দেয়া হয়েছে সেখানে ২১০ আসনে ২২৬ প্রার্থীর নাম রয়েছে। জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, আমরা মহাজোটে নির্বাচন করবো। মহাজোট থেকে জাপার আসন নিয়ে আলোচনা চলছে।
সূত্র জানায়, এরশাদের জাতীয় পার্টি তিনশ’ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিলেও প্রথমে মহাজোটের কাছ থেকে একশ’ আসন দাবি করা হয়। অতঃপর আসন নেমে আসে ৭০ -এ। কিন্তু ওবায়দুল কাদের ৭০ আসনে মহাজোটের সব শরিক দলের জন্য বরাদ্দ রাখার ঘোষণা দেয়ার পর বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে এরশাদের দল। এ অবস্থায় মহাজোটের নিয়ন্ত্রক আওয়ামী লীগকে চিঠি দেয়া হয় আসন ভাগাভাগির তাগাদা দিয়ে। দুই দফায় তাগাদা দেয়ার পর আসন ভাগাভাগি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়। অতঃপর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ৪ ঘন্টা আলোচনায় লাঙ্গলের জন্য ২২টি আসন ছেড়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। অতঃপর দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোপের মুখে পড়ার ভয়ে প্রচার করা হয় ৬২ আসন মহাজোট লাঙ্গলের জন্য ছেড়ে দিচ্ছে। এক সময় সেই আসন নেমে আসে ৪৭-এ। কিন্তু মাত্র ৩টি আসন বৃদ্ধি করে জাপার জন্য ২৫ আসন ছেড়ে অন্যগুলোতে প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। মহাজোটের শরিকদের জন্য মাত্র ৩৬ আসন রেখে ২৬৪ আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়ার পর আওয়ামী লীগ থেকে জানানো হয় কৌশলগত কারণে প্রার্থী দেয়া হয়েছে। তবে আলোচনার মাধ্যমে শরিকদের আরো কিছু আসন ছেড়ে দেয়া হবে। কিন্তু জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া ২৫টির বাইরে আর কয়টি আসন ছেড়ে দেবে তা কেউ জানেন না। পর্দার আড়ালে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে শরিক দলগুলোকে আসন ছেড়ে দেয়া নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। তারা শরিকদের আসন ছেড়ে না দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। এমনকি মহাজোটের কয়েকজন প্রার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় মহাজোট থেকে এরশাদের জাপা কয়টি আসনে প্রার্থী দেয়ার সৌভাগ্য অর্জন করে সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা করছে দলটির নেতাকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।