রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে মানিকগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় চলছে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার প্রস্তুতি। এবার দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে ভোটাররা মনে করছেন। বেশি উজ্জীবিত নতুন ভোটাররা। তারা নতুন ভোটার হয়েছেন। প্রথম নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবেন। নতুন ভোটারদের কাছে টানার জন্য ক্ষমতাসীন আ.লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা বেশি করে নজর দিচ্ছেন। নতুন ভোটাররা যেদিকে মোড় নেবে, সে দিকেই জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের তিনটি নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ১৬৫ জন। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের তিনটি নিবাচনী এলাকায় মোট ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ১১ লাখ ১০ হাজার ৪৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৬২৭ জন এবং মহিলা ভোটার হচ্ছে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৮৩২ জন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৭৮ জন এবং মহিলা ভোটার ছিলেন পাঁচ লাখ ১৬ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের তিনটি নির্বাচনী এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ১৬৫ জন। নতুন বৃদ্ধিপ্রাপ্ত বোটারের মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ৬৫ হাজার ৩৪৯ জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৮১৬ জন। নতুন ভোটাররা খুবই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য।
২০০১ সালের তত্তাবধায়ক সিভিল প্রশাসনের আওতায় সব দলের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার পর এবারই পুনরায় সব দলের অংশগ্রহণে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি দলীয় সরকারের অধীনে। নির্বাচন নিয়ে বিরোধী পক্ষ নানা ধরনের অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন এবং বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। এরপর সেনা সমর্থিত তত্তাবধায়ক সরকার এবং ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যা দেশি-বিদেশি কোনো মহলের কাছেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। এ কারণেই এবারের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ হচ্ছে।
বেশ কয়েকজন নতুন ভোটারের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, তারা তাদের পছন্দসই ব্যক্তিকে ভোট দেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। তারা সবাই চাচ্ছেন দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। ব্যালট বাক্স ছিনতাই, সিল মেরে জাল ভোট প্রযোগ, ভোটারদের বাধা দেয়া। তা হলেই নিজের ভোটটি দিতে পারব। এ কাজটি ইলেকশন কমিশনকেই করতে হবে।
নতুন ভোটার আরো জানিয়েছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১০ বছরের শাসনামল আমলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন সাগর জয়, আকাশ জয় আমরা দেখেছি। অপর দিকে, বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডে বাধা দেয়া, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের শত শত মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেলে পুরে রাখা হয়েছে। এসব বিবেচনা করেই আমরা আমাদের সুচিন্তিত মতামত ভোটের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলন ঘটাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।