Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৬০ হাজার বছর ধরে বিচ্ছিন্ন জাতি আন্দামানে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের একটি প্রত্যন্ত দ্বীপে ৬০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে সবার অগোচরে বসবাস করছে একটি আদিবাসী গোত্র সেন্টিনেলিজ। স¤প্রতি এই দ্বীপটির বাসিন্দাদের হাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা একজন পর্যটক নিহত হওয়ার পর এই বাসিন্দাদের ওপর সবার নজর পড়েছে; যে গোত্রের মানুষরা এখনো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। গত ১৭ নভেম্বর জেলেদের নৌকায় করে ওই দ্বীপপুঞ্জের সেন্টিনেল দ্বীপে যান জন অ্যালেন। জেলেরা জানিয়েছেন, তারা দেখতে পেয়েছেন দ্বীপের আদিবাসী লোকজন সৈকতে একটি মৃতদেহ টেনে নিয়ে যাচ্ছে এবং কবর দিচ্ছে। এখনো তার মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি ভারতীয় কর্মকর্তারা। সেন্টিনেল দ্বীপে বসবাসকারী এই গোত্রের মানুষজনকে ডাকা হয় সেন্টিনেলিজ নামে। সত্তরের দশক থেকে এই আদিবাসীদের নিয়ে কাজ শুরু করলেও, সরকারি একটি অভিযানের অংশ হিসাবে ১৯৯১ সালে ওই দ্বীপে গিয়ে উত্তেজনার মুখে পড়েছিলেন টিএন পন্ডিত। বিবিসির কাছে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দ্বীপটিতে যাওয়ার পর একসময় আমার দলের লোকজনের কাছ থেকে খানিকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিলাম এবং সৈকতের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। একজন তরুণ সেন্টিনেল বাসিন্দা অদ্ভুত আঁকিবুঁকি করা চেহারা নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে এলো, ছুরি বের করলো এবং সংকেত দিলো যেন আমার মাথা কেটে ফেলবে। আমি তাড়াতাড়ি আমার নৌকা ডাক দিয়ে পালিয়ে এলাম।’ তার শারীরিক ভাষায় এটা পরিষ্কার ছিল যে, আমি এই দ্বীপে স্বাগত নই।’ ১৯৭৩ সালে প্রথম ওই দ্বীপে যান টিএন পন্ডিত। তখন তারা এই আদিবাসীদের নিয়ে একটি গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেন। তারই অংশ হিসাবে সেন্টিনেলিজ আদিবাসীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেন তারা। তিনি বলছেন, ‘ওই আদিবাসীদের জন্য আমরা হাঁড়ি-পাতিল, অনেক নারকেল, লোহার তৈরি যন্ত্রপাতি নিয়ে গিয়েছিলাম। পাশের আরেকটি অনজে গোত্রের তিনজন সদস্যকেও আমাদের সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম যাতে তারা আমাদের সেন্টিনেলিজ লোকজনের কথার অনুবাদ আর আচরণের ব্যাখ্যা করতে পারে।’ ‘কিন্তু সেন্টিনেলিজ যোদ্ধারা খুবই রাগী আর অদ্ভুত মুখে আমাদের মুখোমুখি হয়, তাদের হাতে ছিল তীর ধনুক। যেন বহিরাগতদের হাত থেকে তাদের নিজেদের ভূমি রক্ষার জন্য সবাই প্রস্তুত ছিল।’ ‘হাত-পা বেঁধে রাখা একটি জীবন্ত শূকর তাদের উপহার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটিকে তারা বর্শায় বিঁধে ফেলে এবং পরে মাটিতে পুঁতে রাখে।’ এরপরে এই গোত্রটি সম্পর্কে খুবই কম জানা গেছে। এমনটি পোর্ট বেøয়ারে একটি প্রচলিত বিশ্বাস ছিল যে, সেন্টিনেল দ্বীপের বাসিন্দারা হল আসলে পাঠান দÐপ্রাপ্তরা (আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের একটি গোত্র), যারা ব্রিটিশ কারাগার থেকে পালিয়ে দ্বীপটিতে লুকিয়ে রয়েছে। ওয়েবসাইট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ