পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এবার একক প্রার্থী নির্ধারণ। ভোটের মাঠ মসৃণ করার পালা। তবে এ নিয়ে জটিলতাও কম নয়। ‘বিদ্রোহী হলে আজীবন বহিষ্কার’ এমন হুমকি দেয়া হয়েছিল। তারপরও আওয়ামী লীগে কয়েকজন বিদ্রোহী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মাঠে শরিক দলের নেতারাও। বিকল্প প্রার্থী দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা করেছে বিএনপি জোট। তবে শেষ পর্যন্ত কে পান চ‚ড়ান্ত টিকিট তা নিয়ে টেনশনের শেষ নেই নেতাদের মধ্যে। চট্টগ্রামের ১৬টিসহ এ অঞ্চলের ১৯টি আসনে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে এমন সব জটিলতার মুখোমুখি প্রধান দুই জোট।
মহাজোট ও বিএনপি জোটে একক প্রার্থী হতে তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। আগামী ৯ ডিসেম্বর চ‚ড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগ পর্যন্ত নানা মেরুকরণ অব্যাহত থাকার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে তিনটি আসন মহাজোটের শরিক দলকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। ওই তিনটিতেই আওয়ামী লীগের নেতারা শরিক দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী নজিবুল বশর মাইজভাÐারীর বিরুদ্ধে একাট্টা আওয়ামী লীগের নেতারা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী পেয়ারুল ইসলাম সেখানে স্বতন্ত্র পরিচয়ে বিদ্রোহী হয়েছেন। তার দাবি তৃণমূল আওয়াী লীগের চাপের মুখে তিনি প্রার্থী হয়েছেন, প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন না।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুÐ) আসনে আওয়ামী লীগে প্রার্থী দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া। সেখানে আওয়ামী লীগের কলহ কোন্দল চরমে। চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে জাসদের মঈনুদ্দিন খান বাদলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ। ইতোমধ্যে সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দিতে আর বাদলকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছে নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে ছেড়ে দেয়া চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী যেখানে সেখানে শরিক জোটের অনেক নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট আসনের নৌকার প্রার্থীরা তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে দেন দরবার শুরু করে দিয়েছেন। এ নিয়ে চলছে মান-অভিমান আর দর কষাকষি।
অন্যদিকে কৌশল হিসেবে প্রতিটি আসনে বিএনপি জোটের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত কে চ‚ড়ান্ত টিকিট পাবেন তা নিয়ে টেনশনে রয়েছেন প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে কয়েকজন হেভিওয়েট নেতাও রয়েছেন। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতীক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত এ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী কে হন তা নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা চলছে।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনে ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বিএনপির সামির কাদের চৌধুরী একক প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া বাকি আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) আসনে ২০ দলের শরিক এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল অব. অলি আহমদ এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে জামায়াতের আ ন ম শামসুল ইসলাম বিএনপি জোটের একক প্রার্থী। এ দু’টি আসনেও বিএনপি নেতারা মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। আবার জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল নোমানের আসনে এবং বাঁশখালী উপজেলা চেয়ারম্যান প্রিন্সিপাল জহুরুল ইসলাম জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এ দুই নেতার বিএনপির হেভিওয়েট দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটের মাঠে নামায় জামায়াতের ভ‚মিকা নিয়ে সমালোচনা চলছে।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিন পর্যন্ত ১৮০টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। বিএনপি আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতারাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অনেকে আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। মহাজোট এবং বিএনপি জোটের বাইরে ইসলামী আন্দোলনসহ কিছু ছোটখাটো রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে থাকার আভাস পাওয়া গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।