মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার ভয়ে ভারত থেকে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করার পর থেকে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের আশঙ্কা, ভারত সরকার তাদের গণহারে মিয়ানমারের কাছে তুলে দেবে। মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, আগামী মে মাসের জাতীয় নির্বাচনে ভোট বাড়ানোর জন্য হিন্দুপন্থী বিজেপি সরকার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এসব উদ্যোগ নিচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ এ খবর জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত মাসে ৭ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত। একই সময় আসাম সরকারও জানিয়েছে, তারা আরও ২৩ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাবে। এরপরই ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ শুরু করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ভারতে অনেক বছর ধরেই প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছেন। এতদিন তেমন কোনও সমস্যা না হলেও বর্তমান সরকারের নতুন নীতির কারণে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। গত সপ্তাহে ভারতের উত্তরাঞ্চলের শহর জম্মুর একটি রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালিয়ে যান আবুল ফয়েজ। তিনি গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে, ভারত সরকার আমাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে’। ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করছে বলে জানান ফয়েজ। তারা তাকে একটি কাগজে ভারতে প্রবেশের তারিখ ও মিয়ানমারে তার আসল ঠিকানা লিখে দেওয়ার জন্য বলেছে। ফয়েজ বলেন, গত কয়েকদিন জম্মু থেকে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘কেউই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চায় না কারণ সেখানে আমরা এখনও সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি’। জম্মু শরণার্থী শিবিরে ৬ বছর কাটানোর পর গত সপ্তাহে পালিয়ে এসেছেন ৬৫ বছর বয়সী রোহিঙ্গা আবু হোসাইন। তিনি টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সন্দেহ হিন্দু গোষ্ঠীর লোকেরাই এটা করেছে। পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে তারা আমাদের সাহায্য করতে পারবে না। সেখানকার পরিস্থিতি খুবই প্রতিকূল হয়ে পড়েছে।’ টেলিগ্রাফের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করার বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি। টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।