নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দুবাই টেস্টে নায়ক হওয়ার দৌড়টা শুরু হয়েছিল প্রথম দিনেই। সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে রান আউটে থেমে যান আজহার আলি। পরের দিন দুর্দান্ত দুটি শতক তুলে নিয়ে ভালোমতই প্রতিযোগিতায় নাম লেখান হারিস সোহেল ও বাবর আজম। কিন্তু পাকিস্তান বল হাতে নিতেই স্পিন জাদুতে নিউজিল্যান্ডকে ঝলসে সব আলো কেড়ে নেন ইয়াসির শাহ। তৃতীয় দিনে গড়েন এক দিনে দশ উইকেট নেয়ার অনন্য কীর্তি। পরের দিন নিলেন আরো চারটি। নিউজিল্যান্ড যে ইনিংস ও ১৬ রানে হারল তা তো ইয়াসিরের কারণেই। তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তানও ফিরল ১-১ সমতায়। ৩ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া আবু ধাবির ম্যাচটি তাই এখন অঘোষিত ফাইনাল।
চতুর্থ দিনে নিউজিল্যান্ড যে ৪০ রান যোগ করতে গিয়ে দশ উইকেট হারায় তা ইয়াসিরের তাণ্ডবে। ৪১ রানে ৮ উইকেট নিয়ে ঐদিনই গড়েন পাকিস্তানের হয়ে ইনিংসে তৃতীয় সেরা বোলিং করার রেকর্ড। দ্বিতীয় ইনিংসেও তার স্পিন বিষে নীল হয়েছে নিউজিল্যান্ড। এ যাত্রায় আরো ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ফিগার দাঁড় করান ১৪/১৮৪। পাকিস্তানের হয়ে যা দ্বিতীয় সেরা। এই তালিকার শীর্ষে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ১৯৮২ সালে লাহোর টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১১৬ রানে ১৪ উইকেট নিয়েছিলেন ইমরান।
রেকর্ডের ব্যাপরে অবগত ছিলেন ইয়াসির। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এসে জানান, ‘আমি গতকাল (পরশু) জানতে পেরেছি (ইমরানের ১৪ উইকেটের কথা)। ইনজুরির পর দুবাইয়ে এটাই আমার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। আমি আমার ছন্দ ফিরে পেতে শুরু করেছি এবং এটা লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখতে আমার মন আমাকে সহায়তা করে।’
ইনিংস হার এড়াতে শেষ দুই দিনে ১৯৭ রান করতে হত কিউইদের, হাতে ছিল ৮ উইকেট। কিন্তু ১৮১ রান যোগ করে চতুর্থ দিন চা বিরতির খানিক পরেই গুটিয়ে যায় কেন উইলিয়ামসনের দল। তবে এ যাত্রায় তাদের প্রচেষ্টা ছিল প্রসংশনীয়। প্রথম ইনিংসে ৯০ রানে গুটিয়ে যাওয়া দলটি এবার তিন ফিফটিতে করে ৩১২। দুইয়ে মিলে পাকিস্তানের ৫ উইকেটে ঘষিত ৪১৮ রানের চেয়েও যা ১৬ রান কম।
প্রথম সেশনে আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান টম লাথাম (৫০) ও রস টেলরকে (৮২) তুলে নেন যথাক্রমে হাসান আলি ও বেলাল আসিফ। এরপর বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো হেনরি নিকোলসকে (৭৭) চা বিরতির পরপরই দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন হাসান। মাঝের সেশনে হাসানের ডি গ্র্যান্ডহোমের উইকেটটিও ছিল প্রায় একই রকম। বাকি উইকেটগুলো যায় ইয়াসিরের দখলে। বেলা হেলে পড়ার সাথে সাথে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন ডান হাতি লেগ স্পিনার। প্রথম টেস্টে মাত্র ৪ রানে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে যাওয়ার পর দলকে ভালোমতই সিরিজে ফিরিয়ে আনলেন ইয়াসির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ৪১৮/৫ ডিক্লে. (আজহার ৮১, সোহেল ১৪৭, বাবর ১২৭*, ডি গ্রান্ডহোম ২/৪৪)। নিউজিল্যান্ড : ৯০ (রাভাল ৩১, লাথাম ২২, উইলিয়ামসন ২৮*; ইয়াসির ৮/৪১) ও ১১২.২ ওভারে ৩১২ (লাথাম ৫০, টেলর ৮২, নিকোলস ৭৭, ইয়াসির ৬/১৪৩, হাসান ৩/৪৬)। ফল : পাকিস্তান ইনিংস ও ১৬ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : ইয়াসির শাহ। সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।