রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে শেষ পর্যন্ত আ.লীগের নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন! এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহলের শেষ নেই। গত রোববার বাংলাদেশ আ.লীগ একাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। এরমধ্যে চাঁদপুর-১ কচুয়া আসনে দলীয় পদে দু’জন হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ মো. গোলাম হোসেনের যৌথ নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত ঘোষণা দেয়া হয়।
এর খবরের পর নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ ও তাদের কর্মী সমর্থকদের মাঝে দলীয় প্রতীক পাওয়ার আখাঙ্কার পাশাপাশি হতাশাও দেখা দিয়েছে। উপজেলার সর্বত্র রীতিমতো নানান গুঞ্জন দেখা দিয়েছে। কে পাচ্ছন বৃহত্তম এ দলের সোনার হরিণ প্রতীক নৌকা।
কেউ মনে করছেন ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর এমপি কোনো কারণে শেষ পর্যন্ত টিকিট না পেলে কিংবা বিএনপি এ আসনে কাকে দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছেন, সেদিকে বিবেচনায় দেয়া হবে প্রতীক।
গত শুক্রবার ভোররাতে চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক মিলনের দলীয় মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়ার উপর নির্ভর করছে কচুয়ায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর এমপির মনোনয়ন, এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
অন্য দিকে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ মো. গোলাম হোসেনও গত কয়েক মাস কচুয়ায় নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়ন দৌড়ে মাঠে নেমেছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর কোনো কারণে বাদ পড়লে হয়তো আলহাজ গোলাম হোসেনের ভাগ্য খুলে যেতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী দু’এক দিনের মধ্যে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা হলেই সমাধান হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কচুয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. আইয়ুব আলী পাটওয়ারী বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে অবহেলিত কচুয়া উপজেলাকে উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়েছেন। আর আমি মনে করি আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক পাবেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।
এনবিআর সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেনের সমর্থক ও জেলা পরিষদ সদস্য মো. জোবায়ের হোসেন বলেন যেহেতু দলীয় মনোননয়পত্রে তার (আলহাজ মো. গোলাম হোসেনের) নাম রয়েছে, আশা করি তিনি সকলের দোয়ায় শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রতীকও পাবেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন।
সব মিলিয়ে কচুয়া আসনে শেষ পর্যন্ত আ.লীগ ও বিএনপির দলীয় টিকিট কে পাচ্ছেন সেদিকেই তাকিয়ে আছে পুরো উপজেলাবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।