রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনের আওতাধীন একটি সিটি করপোরেশন, আটটি পৌরসভা এবং ১৯৩টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৩৮ লাখ ৭৮ হাজার ৬০৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৮৬৫ জন এবং মহিলা ভোটার ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৯ জন। যেখানে পুরুষ ভোটারের কাছাকাছি রয়েছে নারী ভোটারের সংখ্যা। এ ছাড়াও এবারে যুক্ত হয়েছে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার ৯৭৯ জন নতুন ও তরুণ ভোটার।
কুমিল্লার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নারী ও নতুন-তরুণ ভোটারই সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার আসনগুলোতে হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে। তাদের মতে, এবার প্রার্থীদের জয় পরাজয়ে অন্যতম নিয়ামক হয়ে দাঁড়াবে নারী ও তরুণ ভোটার। ভোটের দিনে তাদের অংশগ্রহণই থাকে বেশি। পুরুষের বুথের চেয়ে নারীর বুথের সামনে লক্ষ করা যায় দীর্ঘ লাইন। ভোট এলে নারীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনার কমতি নেই। নাগরিক সুযোগ সুবিধা নিয়েও ভাবেন তারাও। আবার এবারে নতুন ভোটারদের মধ্যে অধিকাংশই তরুণ। ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে তরুণরা। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত প্রার্থী বেছে নিতে চায় নতুন প্রজন্ম।
নারীদের নিরব ভোটার মনে করা হলেও এখন ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে তারা অনেক বেশি সচেতন। দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও তাদের জানা রয়েছে। কুমিল্লার বেশ কটি আসন ঘুরে নারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তারা নিজেরদের অধিকার নিয়ে ভাবেন। এটকা সময় ছিল যখন ঘরের পুরুষ কর্তাব্যক্তি বা দায়িত্বশীল সন্তানের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে ভোট দিতে হতো। এখন সময়, পরিবেশ বদলিয়েছে। তারা নিজেদের অধিকার বোধের জায়গায় আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বনির্ভর হয়ে ওঠেছে। এছাড়া গত ১০ বছরে কুমিল্লায় নারীরা সকল ক্ষেত্রেই স্বনির্ভরতা, স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। শিক্ষা, কুটির শিল্প, হস্তশিল্প, চাকরি, এনজিও, এমনকি ব্যবসাতেও কুমিল্লার নারীরা এগিয়ে রয়েছে।
কুমিল্লার নারী ভোটারদের বেশির ভাগই বর্তমান সরকারের উন্নয়নমুখি কর্মকান্ডে খুশি। তারা চাইছেন, উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য নৌকা ও মহাজোটের প্রার্থীদের জয়ী করতে হবে। নারীদের সার্বিক উন্নয়নে এখন শেখ হাসিনার বিকল্প আর কিছুই ভাবা যায় না। এটাই এখন বাস্তবতা। অন্য দিকে তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ লাখের বেশি নতুন ভোটারের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের অধিকাংশই আধুনিক, রুচিশীল এবং তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে অভ্যস্ত। এ ধরনের নতুন ভোটারদের প্রত্যাশা, আগামী দিনে যে প্রার্থী তরুণ প্রজন্মের সুবিধার দিকগুলো নিয়ে কথা বলবেন, বাস্তবায়নের আশ্বাস দেবেন, কর্মসংস্থান সুবিধা ও মাদক, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভ‚মিকা রাখার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন, এমন প্রার্থীকেই জয়ী করতে চায় তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।