মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার সর্বশক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি৷ ৭ ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রচার অভিযান শুরু করছে বিজেপি৷ পৌরাণিক রথের সাজে সাজানো তিনটি ভলভো বাস ঘুরবে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে৷ কংগ্রেস এবং বামপন্থিদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিজেপি এবার পশ্চিমবঙ্গের ওই ৪২ আসনের অন্তত ২২টি জেতার আশা করছে৷
আসাম, ত্রিপুরা জয়ের পর বিজেপি নেতৃত্ব যে এবার পশ্চিমবঙ্গ দখলে নেওয়ার জন্য তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করছে, সেটা ওই রথযাত্রার কর্মসূচিতেই স্পষ্ট৷ একটি রথ যাত্রা শুরু করবে সাম্প্রতিক কালে পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে রাজনৈতিক সন্ত্রাসপ্রবণ জেলা বীরভূম থেকে৷ এই যাত্রা শুরু করাবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং এই মুহূর্তে নরেন্দ্র মোদীর পরেই দলের সবথেকে হেভিওয়েট নেতা অমিত শাহ৷ দ্বিতীয় রথযাত্রা শুরু করাবেন উত্তরপ্রদেশে বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, রাজ্যের দক্ষিণ প্রান্তের সাগরদ্বীপ থেকে৷ আর তৃতীয় একটি রথযাত্রা শুরু হবে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে, যেখানে উপস্থিত থাকবেন অসমের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল৷ আর তিনটি রথযাত্রা যেখানে মিলিত হবে, কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ২৩ জানুয়ারির সেই সমাপ্তি সমাবেশে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷
তিনটি রথেরই আলাদা বক্তব্য থাকবে৷ বীরভূমের রথ পশ্চিমবঙ্গে শাসকদলের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে, সাগরদ্বীপের রথ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংখ্যালঘু তোষণ নীতির প্রতিবাদে এবং কোচবিহারের রথযাত্রা উত্তর-পূর্ব ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের প্রতিবাদে৷
পশ্চিমবঙ্গ সরকার সঙ্গত কারণেই বিজেপির এই কর্মসূচি নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ তার একটা বড় কারণ, ২০১৪ সালে সংসদীয় নির্বাচনের পর থেকেই এই রাজ্যে বিজেপির সমর্থন ক্রমশ বাড়ছে৷ পরবর্তীতে আসাম এবং ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়ও পশ্চিমবঙ্গে প্রভাব ফেলেছে৷ কাজেই রাজ্যের তিন দিক থেকে তিনটি রথযাত্রার পিছনে সাধারণ মানুষের একাংশের যে সমর্থন থাকবে, সেটা সরকার আঁচ করছে৷ এ কারণে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা, মন্ত্রীরা পথে নেমে এই রথযাত্রার বিরোধিতা করার কথা বললেও, সরকারের মনোভাব আপাতত এটাকে নির্বিবাদে হতে দেওয়া৷ কিন্তু রাজ্যের অন্য দুই বিরোধী দল কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট যে রথের রাস্তা আটকাবার কথা বলছে, তাতে ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।