Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জন্ডিসে হোমিও

প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মানুষের শরীরটা একটি চলমান ফ্যাক্টরি। মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষকে তৈরি করে শরীরের ভেতর ও বাহিরে যে সমস্ত অঙ্গ-প্রতঙ্গ দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকটির নিদিষ্ট কাজ নির্ধারণ করে রেখেছেন। আমাদের নিত্যদিনের চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদির নিদিষ্ট জীবন আচরণে অনিয়ম হলেই আমারা অসুস্থ হয়ে পড়ি। বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ি। এতে রোগের উপসর্গগুলো দৃশ্যমান হয়। এমনি একটি উপসর্গ জন্ডিস। জন্ডিস কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র। এতে চামড়া ও চোখ হলুদ দেখায় কারণ শরীরে বিলিরুবিন নামে হলুদ রঞ্জক পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে প্রস্রাব গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। ভারতীয় উপমহাদেশে জন্ডিসের একটি প্রধান কারণ হলো ভাইরাস ঘটিত হেপাটাইটিস।
জন্ডিসের কারণ
জন্ডিসের কারণকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ‘হেপাটোসেলুলার’, ‘অবস্ট্রাকটিভ’ এবং ‘হেমোলাইটিক’। জন্ডিসে আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখানোর মাধ্যমে এর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে, তারপর চিকিৎসা।
আমাদের দেশের মানুষের জন্ডিস হওয়ার শতকরা ৭০ ভাগ কারণ হচ্ছে ভাইরাল হেপাটাইটিস। প্রধানত হেপাটাইটিস এ বি সি ডি এবং ই ভাইরাসের সংক্রমণে যকৃতে প্রদাহ সৃষ্টি হওয়াকে বলা হয় ভাইরাল হেপাটাইটিস।
এদের মধ্যে হেপাটাইটিস বি ও হেপাটাইটিস সি’র সংক্রমণে যকৃতে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। লিভার সিরোসিস ও লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে জন্ডিস ভালো হয়ে যাওয়ার পরও নিয়মিত যকৃত পরীক্ষা করানো উচিত।
জন্ডিস রোগের লক্ষণ
অমøপিত্ত ও অর্জীন রোগে পেটে বায়ূ জমে।
খাওয়ায় অরুচি হয়।
সামান্য আহারে পেট ফুলে ওঠে, টক ঢেকুর ওঠে।
বুক জ্বলে।
পায়খানা কষা, অর্থাৎ কোষ্টকাঠিন্য হয়।
জন্ডিস রোগের চিকিৎসায় হোমিও ওষুধ : অধিকাংশ ভাইরাল হেপাটাইটিসেই লিভার এবং শরীরকে বিশ্রাম দিলে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে এ সকল লক্ষণগুলো দেখা দিলে লাইকোপোডিয়াম-২০০ শক্তি ২০নং বাড়িতে ১ ড্রাম ওষুধ সংগ্রহ করে ৬ ঘণ্টা পর পর ৩০টি করে বড়ি খাবেন। এ ওষুধ শেষ হলে ১৫ দিন পর একই ওষুধ ১০০০ শক্তির ১ ড্রাম ২০নং বড়িতে নিয়ে একই নিয়মে খাবেন।
এছাড়া লিভারের পীড়া, চোখ-মুখ-নখ হলুদবর্ণ ধারণ, কোষ্ঠ বদ্ধ মল শক্ত, ক্ষুধা হীনতা, বমিভাব, পিত্তবমি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে চেলিডোনিয়াম ১ আউন্স সকালে, দুপুরে ও রাতে ১০ ফোটা ওষুধ ১ কাপ ঠা-া পানিতে মিশিয়ে নিয়মিত খাবেন। ইনশাল্লাহ জন্ডিস সেরে যাবে। সমস্যা জটিল মনে হলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন। জন্ডিসে হোমিও ওষুধ খুবই কার্যকর এবং সহজেই নিরাময়যোগ্য।
ষ ডা. মো. মোখলেসুর রহমান
বাওনিং হাওসেন হোমিও ক্লিনিক
৩/১৬, (পুরাতন ৫/১৮) আরামবাগ, মতিঝিল, ঢাকা।
মোবাইল ০১৭৬১০৭৯৭২৯।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জন্ডিসে হোমিও

আরও পড়ুন