নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০০৫ সালে অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই পাঁচ উইকেট। ২২ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ারের বাকি সময়েরও ক্রিকেটপ্রেমিদের নিয়মিত ঘুর্ণি বলের মায়াজালে বন্দী করে চলেছেন তাইজুল ইসলাম। চলতি বছর যেন তিনি আরো শানিত। বাঁ-হাতি স্পিনে মাত্র ছয় টেস্টে নিয়েছেন ৪০ উইকেট। এমন ফর্ম তাকে দেখাচ্ছে আইসিসি বর্ষসেরা বোলার হওয়ার স্বপ্ন।
সেটা হলে অনন্য এক কীর্তিই গড়বেন তাইজুল। টেস্টে যে এমন কীর্তি বাংলাদেশ থেকে আগে কেউ করেনি। ওয়ানডেতে অবশ্য এক বর্ষপঞ্জিকায় সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড আছে বাংলাদেশের। ২০০৬ সালে ৪৯ উইকেট নিয়ে যে কীর্তি গড়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবার তাইজুলের সামনে সাদা পোষাকে লাল-সবুজের পতাকা উঁচিয়ে ধরার হাতছানি।
চলতি বছর সাদা পোষাকে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের লড়াইয়ে অবশ্য চার নম্বরে আছেন তাইজুল। অসম লড়াইয়ে তার চেয়ে ছয় উইকেটে এগিয়ে শীর্ষে কাগিসো রাবাদা। তবে তাইজুল যেখানে ৪০ উইকেট নিয়েছেন ১১ ইনিংসে সেখানে ৪৬ উইকেট নিতে ১৮ ইনিংস লেগেছে রাবাদার। তাইজুলের উপরে থাকা বাকি দুই বোলারও বেশি ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ২২ ইনিংসে জেমস অ্যান্ডারসন নিয়েছেন ৪৩ উইকেট, ১৭ ইনিংসে ৪১ উইকেট দিলরুয়ান পেরেরার। বছরের বাকি সময়ে অ্যান্ডারসন আর টেস্ট খেলবেন না। একটি ম্যাচ খেলবেন রাবাদা। পেরেরার পাবেন দুই ম্যাচ। আর তাইজুলের হাতে ম্যাচ আছে মাত্র একটি। লড়াইটা তাই অসমই। সেই লড়াইয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে বিশেষ কিছুই করতে হবে তাইজুলকে।
তাইজুল বর্ষসেরা হতে পারবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। তবে এখন পর্যন্ত যা করেছেন তাই বা কম কিসে। বাংলাদেশের হয়ে এক বছরে সর্বোচ্চ উইকেটে নেয়ার কীর্তি গড়েছেন প্রথম ইনিংসেই। ছাড়িয়ে গেছেন ২০০৩ সালে মোহাম্মদ রফিকের গড়া ৩৩ উইকেটের রেকর্ড। চলতি বছর চারবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়া দ্বিতীয় বোলারও তাইজুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা তিন ইনিংসে নেন পাঁচ উইকেট। গতকালও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে ১৩৯ রানে গুটিয়ে গেল তা তো তাইজুলের ঘুর্ণি জালে আটকা পড়েই। এ যাত্রায় ৩৩ রানে নিযেছেন ছয় উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে যা সেরা বোলিং ফিগার। আগের রেকর্ডটা ছিল এনামুল হক জুনিয়রের। ২০০৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪৫ রানে ছয় উইকেট নিয়েছিলেন এনামুল। তবে সব মিলে টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার কিন্তু তাইজুলেরই। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৯ রানে নিয়েছিলেন আট উইকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।