বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় ‘হিরো আলম’ একজন পরিচিত মুখ হলেও তার নিজ জেলা বগুড়ায় বা নিজের নির্বাচনী এলাকা বগুড়া-৪ সংসদীয় এলাকাতে তার তেমন পরিচিতি নেই। বগুড়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে তাকে নিয়ে বাস্তবে কোন হৈ হুল্লোড় ও মাতামাতিও নেই একদমই।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বগুড়া সদরের এরুলিয়া ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী কাহালু উপজেলা এলাকার ডিশ ব্যবসায়ী আনু মানিক ৩০/৩৫ বছর বয়সী আলম মিয়া একজন ডিশ এন্টেনা ব্যবসায়ী। ডিশ ব্যবসায়ী হওয়ার সুবাদে তার মাসিক ইনকাম লাখ টাকার ওপরে। এলাকায় মানুষ তাকে ‘ডিশ আলম’ নামেই এক ডাকে চেনে। তার নিকটাত্মীয় ও ঘনিষ্ট বন্ধুরা জানায়, আকারে বেঁটে খাটো, গায়ের রং কুচকুচে কালো হলেও বাস্তব বুদ্ধিতে বেশ পাকা সে। একেবারে শুরুর দিকেই সে প্রত্যন্ত পল্লী এলাকায় ডিশের ব্যবসা শুরু করায় এক দশক আগে তার মাসিক আয় ছিল গড়ে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা। পরে এলাকায় আরো ২/৪ জন একই ব্যবসায় নামলে তার মাসিক আয়ের পরিমাণ কমে আসলেও এখনও মোটামুটি লাখ খানেক টাকা আয় আসে তার এই খাত থেকে।
ডিশের ব্যবসা করতে গিয়ে বিভিন্ন ছায়াছবি দেখে এবং সেই সাথে বিভিন্ন ডিজে পার্টি, অ্যাড ও শর্টফিলম ও সিডি মেকারদের সাথে তার পরিচয় ও সখ্য তৈরী হলে তার মধ্যেও হিরো বা নায়ক হবার উচ্চাভিলাস জেগে ওঠে। নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে সে সিডি মেকারদের দিয়ে একের পর এক নাচ/গান ও শর্ট ফিল্ম বানিয়ে নিজের ডিশ চ্যানেলে প্রচার করতে থাকে। তার দেখাদেখি তার একাধিক পরিচিত জন ও তার সূত্র ধরে নাচ/গানের সিডি তৈরী করে আলমের চ্যানেলে প্রচার করতে থাকে।
অত্যন্ত নিম্নরুচি ও হাস্যকর ওইসব তৈরীকৃত সিডি ইউটিউব চ্যানেলে দিয়ে তা ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে লাইকের বন্যা বয়ে যায়। ভার্চুয়াল জগতে সে পরিচিতি পাই হিরো আলম হিসেবে। এরই সূত্র ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় লেখালেখি, তাকে নিয়ে শুরু হয় রীতিমত তোলপাড়। এরই মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা হলে স্থানীয় একজন অনলাইন সাংবাদিকের প্ররোচনায় নিজেকে প্রচারণায় আনার কৌশল হিসেবে সে জাতীয় পার্টির পক্ষে বগুড়া-৪ সংসদীয় আসনে জাতীয় পার্টির পক্ষে মনোনয়ন তোলে। তবে তা জাতীয় পার্টির স্থানীয় বা জাতীয় নেতাদের ইচ্ছায় নয় জাতীয় পার্টিকে তার জন্য সুবিধাজনক মনে করেই সে ওই দলের পক্ষে মনোনয়ন তুলেছে বলে পার্টির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।
হিরো আলমের বাবা আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ডিশ ব্যবসার ঝক্কি ঝামেলা তাকেই সামলাতে হয়। ও শুধু মাঝে মাঝে এসে লাভের টাকার প্রায় পুরোটায় নিয়ে চলে যায়। সময় কাটায় সিডি জগতের মডেল গার্লদের সাথে। ইলেকশনে পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ভোটে দাঁড়ালে কত ভোট পাবে জানতে চাইলে তার পাড়া প্রতিবেশীরা হাসতে হাসতে বলে ‘অক কে ভোট দিবি, উঁই তো ইউপি মেম্বারোত দ্যাঁড়া উটপার পারেনি (ওকে কে ভোট দেবে? ওতো ইউপি মেম্বার পদে দাঁড়িয়ে উঠতে পারেনি)?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।