বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে কে হবেন নৌকার মাঝি আর কে পাবেন ধানের শীষ তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা আর ব্যাপক উৎকন্ঠা। আর মাত্র ক’দিন পরই সব জল্পনা কল্পনার অবসান হলেও এলাকাবাসীর মনে এখন চরম উৎকন্ঠা আর চলছে জল্পনা কল্পনা। একাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি হতে প্রায় দুই ডজন মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করা হয়েছে কে পাবেন মনোয়ন তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ চায় তার আসন ধরে রাখতে আর বিএনপি চায় তার দূর্গ উদ্ধর করতে। একাদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাবনা-৩ (চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর) সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র প্রায় দুই ডজন প্রাথী ইতিমধ্যে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। কে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে এলাকায় নানা জল্পনা কল্পনা চলছে। পাবনা-৩ আসনে বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আলহাজ মোঃ মকবুল হোসেন এমপি আছেন। তিনি মনোনয়ন পাবেন কিনা এনিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কারন এ আসনে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৪জন মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন এবং এ আসনে প্রার্থী হবার জন্য ইতোমধ্যে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে এলাকায় পোষ্টার টাঙিয়েছেন। এই আসনে প্রার্থী হবার জন্য আরো যারা চেষ্টা করছেন তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ মোঃ মকবুল হোসেন, পাবনা জেল আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঃ হামিদ মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা আ স ম আঃ রহিম পাকন, জেলা ্ওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ভাঙ্গুড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ বাকিবিল্লাহ, চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন সাখো, সাধারণ সম্পাদ মোঃ আঃ মালেক, পাবনা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড. শাহ আলম, ফরিদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান, পৌর মেয়র কামরুজ্জামান মাজেদ, কেন্দ্রীয আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আঃ আলীম, সাবেক সহ-সম্পাদক মোঃ আতিকুর রহমান, ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন, ফরিদপুরের আবুল কালাম আজাদ ও আলাউদ্দিন আজাদ। অপরদিকে বিএনপি থেকে সাতজন মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন। বিএনপি থেকে যারা মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয নির্বাহী কমিটির সদস্য, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক এমপি কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, বিমান বাহীনির সাবেক প্রধান ফরিদপুর উপজেলার ফখরুল আজম রনি, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হাসাদুল ইসলাম হীরা, আলহাজ্ব মোঃ রাজিউল হাচান বাবু, এ্যাড. পাবনা জেলা বিএনপি’র প্রথম যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ খন্দকার, জহুরুল ইসলাম বকুল, আরিফা সুলতানা রুমা ও আলহাজ্ব হাসানুল আসলাম রাজা। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। তারা সভা, সমাবেশসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন। পাবনা জেলার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় আসন। চাটমোহর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা, ভাঙ্গুড়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এবং ফরিদপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে পাবনা-ত এলাকা গঠিত। এ আসনটি এক সময়ে আঃলীগের দূর্গ বলে খ্যাত ছিল। আঃলীগ তার আসনটি ধরে রাখতে চায় এবং অপরদিকে বিএনপি হারানো আসন পূনঃদ্ধার করতে স্বচেষ্ট। উভয় দলে রয়েছে বেশ কোন্দল। কর্মকান্ডের গতিশীলতা, তৃর্ণমূল পর্যায়ে দলীয় এবং নিজের ভীত মজবুত, শৃংখলা ফিরিয়ে আনতে সবাই তৎপর। আগামী নির্বাচনে কে পাবেন বড় দুই দলের মনোনয়ন নামক সোনার হরিণ তা এখন দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।