Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আবাহনীর রেকর্ড না বসুন্ধরার ইতিহাস

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ঘরোয়া ফুটবলের মৌসুম সূচক টুর্নামেন্ট ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আজ মুখোমখি হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড ও নবাগত বসুন্ধরা কিংস। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হবে ম্যাচটি। চ্যানেল নাইন খেলা সরাসরি সম্প্রচার করবে। এ ম্যাচ জিতে আবাহনী রেকর্ড, না বসুন্ধরা ইতিহাস গড়বে? এমন ভাবনা দু’শিবিরেই। ঢাকা আবাহনীর সামনে দু’টি রেকর্ডের হাতছানি। যদি তারা ফাইনালে বসুন্ধরাকে হারায় তাহলে দেশের প্রথম দল হিসেবে ফেডারেশন কাপে দ্বিতীয়বার হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতবে দলটি। পাশাপাশি এই টুর্নামে্েটর সর্বোচ্চ ১১বার ট্রফি যাবে আবাহনী ক্লাবে। এখন পর্যন্ত ফেডারেশন কাপে এখন পর্যন্ত ১০বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সহঅবস্থানে আছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান ও আবাহনী লিমিটেড। অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংস যদি আবাহনীকে হারিয়ে দেয় তাহলে টুর্নামেন্টের অভিষেকেই ইতিহাস গড়া হবে তাদের। সেই সঙ্গে দুই দলের সামনেই থাকছে এএফসি ক্লাব কাপে খেলার হাতছানি। ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়নরা খেলবে আসন্ন এএফসি ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টে। এমন সমীকরণ মাথায় নিয়েই মাঠে নামবে আবাহনী ও বসুন্ধরা।

ইতিহাস এবং ঐতিহ্যে আবাহনীর চেয়ে বসুন্ধরা কিংসের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। দেশের ফুটবলে সফল এক ক্রীড়া সংগঠনের নাম আবাহনী। বিপরীতে বসুন্ধরা কিংস একেবারেই নতুন একটি দল। সর্বশেষ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ জিতে এবারই তারা নাম লেখালো প্রিমিয়ার লিগে। চলতি ফেডারেশন কাপ টুর্নামেন্ট দিয়েই ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ আসরে অভিষেক হয়েছে তাদের। তবে ইতিহাস-ঐতিহ্যে দু’দলের যতটা পার্থক্য শক্তিতে কিন্তু মোটেও তা নয়। এবার স্থানীয় ও বিদেশি ফুটবলার সংগ্রহে শুধূ আবাহনীই নয়, প্রিমিয়ার লিগের সব ক্লাবকেই পেছনে ফেলেছে বসুন্ধরা।

আজকের ফাইনালের লড়াইটা হবে আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা ও বসুন্ধরার কোস্টারিকার মিডফিল্ডার কলিনড্রেসের মধ্যেও। দু’টি দলকেই ফাইনাল পর্যন্ত টেনে আনার নেতৃত্ব দিয়েছেন এ দুই বিদেশী। রাশিয়া বিশ্বকাপে কোস্টারিকার হয়ে খেলা কলিনড্রেসের হ্যাটট্রিকের সুবাদেই কোয়ার্টার ফাইনালে বিজেএমসিকে হারিয়ে সেমিতে ওঠে বসুন্ধরা। অন্যদিকে সেমিফাইনালে সানডে সিজোবার হ্যাটট্রিকের সুবাদে শেখ জামালকে বিদায় করে ফাইনালে জায়গা পায় ঢাকা আবাহনী। তাই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এ দুই বিদেশীর কারিশমা দেখতেও উন্মুখ থাকবেন দর্শকরা।

লড়াইটা দুই দলের স্থানীয় ও বিদেশী দু’কোচের মধ্যেও। স্থানীয় কোচ জাকারিয়া বাবু আবাহনীর দায়িত্ব নিয়ে মৌসুম সূচক টুর্নামেন্টের ফাইনালে দলকে পৌঁছে দিয়েছেন। ফাইনাল পর্যন্ত আসতে আবাহনীকে কষ্ট করতে হলেও বসুন্ধরার বিপক্ষে নিজ দলকেই এগিয়ে রাখলেন জাকারিয়া বাবু। গতকাল ফাইনাল পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘শিরোপা জেতার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। বাকী কেবল একটি মাত্র ম্যাচ জয়। কোন বিশেষ খেলোয়াড় নন, আমার ট্রাম্পকার্ড ১১ জন খেলোয়াড়ই। দলে কোন কার্ড সমস্যা নেই, ইনজুরিও নেই। তাই আমার আত্মবিশ্বাস ছেলেরা আমাকে জেতাবে।’ বাবু আরো বলেন, ‘সানডে কিংবা কলিনড্রেস- কাউকে আমি আলাদা করে দেখছি না। যে যার স্থানে ভালো খেলবে।’ আবাহনী অধিনায়ক শহিদুল আলম সোহেল বলেন, ‘বরাবরের মতো আরো একটি ফাইনাল খেলছি আমরা। সিরিয়াস থাকতে চাই শিরোপা জেতার জন্য।’

ফাইনাল পর্যন্ত আসতে আবাহনীর কষ্ট হলেও বসুন্ধরা কিন্তু অনেকটা হেসে-খেলেই এসেছে। স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন অভিষেকেই বসুন্ধরা কিংসকে রাজকীয়ভাবে তুলে এনেছেন ফাইনালে। যদিও কাল সংবাদ সম্মেলনে ব্রুজন না এসে পাঠান সহকারী কোচ আবু ফয়সাল আহমেদকে। ফয়সাল বলেন, ‘ভালো খেলেই আমরা আবাহনীর মতো জায়ান্টদের হারিয়ে শিরোপা জিততে চাই।’ সেমিফাইনালে গোল করে দলকে জেতানো তৌহিদুল আলম সবুজের কথা, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য থাকবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। এরপর এএফসি ক্লাব কাপে খেলতে চাই।’ তিনি যোগ করেন, ‘আবাহনীকে হারানোর মতো রসদ আমাদের দলে রয়েছে। আমাদের কিরগিজস্তানের মিডফিল্ডার বখতিয়ার ঢাকায় ফিরলে শক্তি আরো বাড়বে। আশাকরি বখতিয়ার ঢাকায় ফিরেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: v


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ