Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সিটিসেলের সেবা শুধু মহাখালীতেই অন্যান্য এলাকায় নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না

প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বকেয়া পরিশোধ না করায় বন্ধ হওয়ার পর আদালতের আদেশে তরঙ্গ ফিরে পেলেও এখনও কেবল রাজধানীর মহাখালীতেই সিটিসেলের সেবা পাচ্ছেন গ্রাহকরা। ওই এলাকার বাইরে কোথাও সিটিসেল গ্রাহকরা কোনো সেবা বা সংযোগ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। গতকাল (বুধবার) মহাখালীতে অপারেটরটির প্রধান কার্যালয়ের পাশে উন্মুক্ত স্থানে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তারা। গত পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না জানিয়ে তা আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকে প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (পিবিটিএলইইউ)। পিবিটিএলইইউর তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক মাহজাবিন মিতালী বলেন, মহাখালী এলাকায় সিটিসেলের মাত্র তিনটি বিটিএস (বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশন, যা সাধারণভাবে মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত) চালু আছে। অফিসের কর্মীরা শুধু সিটিসেলে কথা বলতে পারছেন অফিস এলাকায়। মহাখালী এলাকার বাইরে গেলে কিংবা ঢাকার অন্যান্য এলাকায়ও সিটিসেলের কোনো নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। বিটিআরসির পাওনা ৪৭৭ কোটি টাকা না দেওয়ায় গত ২১ অক্টোবর সিটিসেলের তরঙ্গ বন্ধ করে দেয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি। দেনা পরিশোধের প্রতিশ্রুতিতে আদালতের নির্দেশে ১৭ দিন পর সিটিসেলের তরঙ্গ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়, আগামী ১৯ নভেম্বরের মধ্যে সিটিসেল বকেয়ার ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ না করলে আবারও তরঙ্গ বন্ধ করে দিতে পারবে বিটিআরসি। বিটিআরসির হিসাবে, ১৯৯৩ সালে যাত্রা শুরু করা সিটিসেলের বন্ধ হওয়ার আগে দেড় লাখের মতো গ্রাহক ছিল।
বিটিআরসির অভিযানের পর মহাখালীর প্যাসিফিক সেন্টারে বন্ধ সিটিসেলের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার; পরে আবার তা চালু হয় বিটিআরসির অভিযানের পর মহাখালীর প্যাসিফিক সেন্টারে বন্ধ সিটিসেলের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার; পরে আবার তা চালু হয়। এই কোম্পানির ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক বিএনপি নেতা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের প্যাসিফিক মোটরস লিমিটেড। সিঙ্গাপুরের সিংটেলের হাতে আছে ৪৫ শতাংশ শেয়ার। এছাড়া ফার ইস্ট টেলিকম লিমিটেড ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক। আর্থিক সঙ্কটে থাকা সিটিসেলের কর্মীরা বলছেন, তারা গত পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। তা পরিশোধের আশ্বাস কর্তৃপক্ষ দিলেও তাতে ভরসা করতে পারছেন না তারা। প্রতিষ্ঠানের কর্মীর সংখ্যা ৬৫০ বলে জানানো হলেও সংবাদ সম্মেলনে ৩০ জনের মতো উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মাহজাবিন বলেন, অর্থাভাবে অনেকেই অফিসে আসেন না, আসলেও অনেকেই বিকেলের আগেই চলে যান। আগামী ২২ নভেম্বর বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস বাস্তবায়ন না করলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন সিটিসেলকর্মীরা। মাহজাবিন বলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী ২২ নভেম্বর দুপুরের মধ্যে পজেটিভ কিছু নিয়ে বসা হবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর শ্রদ্ধাশীল, তবে আস্থা রাখতে পারছি না। আশা করছি, কথার খেলাপ না করে বকেয়া পরিশোধের ঘোষণা আসবে ২২ নভেম্বর। যদি এর অন্যথা হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনের দিকে যেতে বাধ্য হব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: v


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ