Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মনোনয়ন লড়াইয়ে প্রার্থীরা

চট্টগ্রাম-২ ও ১৪, যশোর-৬ আসনে চলছে দলীয় প্রতীক পেতে শেষ মুহূর্তের লবিং

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ফটিকছড়িতে নৌকা পেতে ২৬, ধানের শীষে ১৪ জন প্রার্থী। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপি এক, আ.লীগে ২৩ ও বিএনপি থেকে পাঁচজন প্রার্থী। কেশবপুর আসনে আ.লীগ-১১ বিএনপি-৯ জাতীয় পার্টি এক ও জামায়াতের একজন। গাইবান্ধা-১ আসনে এমপি লিটন হত্যা মামলার আসামিসহ ১০ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন পেতে সক্রিয় রয়েছেন। এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) থেকে সৈয়দ জাহেদুল্লাহ কুরাইশী জানান, কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চলতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে সরা দেশের ন্যায় চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনেও বইছে ভোটের হাওয়া। তবে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ এবং বিএনপির ঐক্যফ্রন্টে ধানের শীষ পেতে আগ্রহী ১৪ জনে উন্নীত হয়েছে। ফটিকছড়ির ইতিহাসে এত সংখ্যক নেতা অন্য কোনো জাতীয় নির্বাচনে এভাবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেনি। এ নিয়ে ফটিকছড়ির ভোটের মাঠে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ফটিকছড়ি আসনে প্রার্থী হবার মানসে আ.লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন এ পর্যন্ত ২৬ জন। তারা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারমান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আফতার উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আ.লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ, জেলা আ.লীগের সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, জেলা আ.লীগ নেতা এইচএম আবু তৈয়ব, শিল্পপতি হেলাল উদ্দীন নূরী, ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম, ব্যারিস্টার তানজীবুল আলম, এম আর আজিম, জানে আলম সিপন, সৈয়দা রাজিয়া মোস্তফা, সাদাত আনোয়ার সাদী, আ.লীগ নেতা বেলাল মুহাম্মদ নূরী, ড. ফয়সল কামাল, ইঞ্জিনিয়ার রাজীব বড়ুয়া, মিজানুর রহমান, শাহ আলম সিকদার, রিফাত আক্তার নিশু, ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, আশীষ কান্তি দে, মাহবুবুল আলম ও গোলাম রহমান প্রমুখ।

অন্যান্য বার ফটিকছড়ি থেকে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয়জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও হঠাৎ করে এবার এই সংখ্যা হুহু করে বৃদ্ধি পাওয়ায় তৃণমূলে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। সেই সঙ্গে নেতৃত্বশূন্যতার বহি:প্রকাশ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে কেউ আ.লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করলেও এ রাজনৈতিক সংগঠনের জন্য তা কোনোভাবেই মানানসই মনে করছে না অভিজ্ঞ মহল। যাদের এলাকায় কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, পরিচিতি নেই, এমনকি অনেকেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হলেও তারা সংসদ সদস্য পদে আ.লীগের মনোনয়ন চাওয়ায় সর্বত্র হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, নিজের পক্ষে প্রার্থিতা সমর্থন এবং ‘জোট নয়; দলীয় প্রার্থী চাই’ ম্যাসেজটি সভানেত্রীর কানে দেয়ার লক্ষ্যেই এ অস্বাভাবিক মনোনয়ন সংগ্রহ আন্দোলনে শামিল করানো হয়েছে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি দিয়েছে স্বয়ং সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ‘গণসাক্ষাৎকার’ অনুষ্ঠানে দলীয় সভানেত্রীর বক্তব্য শুনে সবার মাথায় যেন ‘ছাদ’ ভেঙে পড়েছে।

অন্য দিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে বৃহত্তম বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন সদ্য গঠিত ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’। গেল নির্বাচন তারা বয়কট করলেও এবার তারা নির্বাচনে আসার ঘোষণায় সারা দেশের ন্যায় ফটিকছড়ি সংসদীয় আসনেও ভোটযুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্ক সত্তে¡ও এ আসনে ১৪ নেতা-নেত্রী দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তারা হচ্ছেন- ফটিকছড়ির বাইরের ব্যক্তি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান (পলাতক) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, ফটিকছড়ির ভেতরের বাসিন্দা বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহহমুদ ফয়জী, সাবেক মহিলা এমপি ও বিএনপির মহিলা সম্পাদিকা বেগম নূরীআরা ছাফা, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, শিল্পপতি নাসির উদ্দিন বাহাদুর, উপজেলা বিএনপির মূলাংশ আহ্বায়ক মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দিন, অপরাংশ আহ্বায়ক মুহাম্মদ সরওয়ার আলমগীর, পেশাজীবী নেতা ডা: খুরশীদ জামিল চৌধুরী, সাবেক পিজিআর প্রধান কর্নেল (অব:) আজিম উল্লাহ বাহার চৌধুরী, তরুণ শিল্পপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী পিটু, চসিক কাউন্সিলর জেসমিন সুলতানা, জনৈক প্রবাসী মুহাম্মদ আজম। অন্য দিকে সদ্য বিএনপি থেকে পদত্যাগী বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মোহাম্মদ আকবর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলে (জেএসডি) যোগদানোত্তর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বলে জানা গেছে।

শেষ খবরে জানা গেছে, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী পলাতক অবস্থান থেকে ফটিকছড়ি আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। তার বিপক্ষেও জোর চেষ্টায় আছেন আরেক সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খোন্দকার। তবে তারা উভয়ের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে ফটিকছড়ির ভেতরের বাসিন্দা সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী। তারা তিন জনের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ত্রিমুখী লড়াই চলছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। ঐক্যফ্রন্টে যদি ফটিকছড়ির বাইরের কেউ নমিনেশন পেয়ে যায়; তবে মহাজোট মনোনীত প্রার্থীর পোয়াবারোই হবে।

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) থেকে এম এ মোহসিন জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চন্দনাইশ সাতকানিয়া চট্টগ্রাম-১৪ আসনে মনোনয়ন নিয়েছে এলডিপি থেকে একজন, আ.লীগ থেকে ২৩ জন এবং বিএনপি থেকে পাঁচজন। এ নির্বাচন ঘিরে চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ সাতকানিয়া (আংশিক) আসনে মনোনয়ন নিয়েছে এলডিপি থেকে ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। তিনি চন্দনাইশ পৌর এলাকার হাজীর পাড়া ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আ.লীগ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ নজরুল ইসলাম, আ.লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, আ.লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার কার্যকরি সদস্য উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর, চন্দনাইশ উপজেলার আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ চৌং, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চিন্টু, আ.লীগ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল কৈয়ম চৌং, ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ উদ্দীন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুবলীগ সদস্য মোহাম্মদ কায়কোবাদ ওসমানি, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ উপজেলা আ.লীগ সহ-সা.সম্পাদক মোহাম্মদ মাহাবুবু রহমান চৌং, খালেদা আক্তার চৌং, এম মাসুদ আলম চৌং, এম এ সাইদ, মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সাহিদা আক্তার জাহান, যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম চৌং, আ. লীগ সদস্য আফতাফ মাহমুদ শিমুল, এ কে এম নাজিম উদ্দীন, বর্তমান উপজেলার চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌং, আ.লীগ সদস্য অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তাফা, দোহাজারী পৌরসভা ২ নং ওয়ার্ড আ. লীগ সদস্য মামুনউল হক চৌং, রীতা সেন, নাজির উদ্দীন জয়, দেলোয়ার হোসেন মানিক।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক এহসানুল মৌলা। সাতকানিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দীন, মোক্তার আহমদ, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপি সাবেক সভাপতি নুরুল আনোয়ার চৌং, মোজাম্মেল হক।

কেশবপুর থেকে মো. রূহুল কুদ্দুস জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ কেশবপুর আসনে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন ২২ জন প্রার্থী। এর মধ্যে আ.লীগ-১১, বিএনপির-৯, জাতীয় পার্টির-এক ও সতন্ত্র-এক। আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেনÑ বর্তমান এমপি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক, কেশবপুর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, কেশবপুর উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমির হোসেন, কেশবপুর উপজেলা আ.লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও উপজেলার মির্জানগর গ্রামের কৃতিসন্তান রাজধানীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ আব্দুর রফিক, যশোর জেলা আ.লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ কাজী রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, কেশবপুর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলার বাউশলা গ্রামের কৃতি সন্তান রাজধানীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি আব্দুল মান্নান, খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের ড. তাপস কুমার দাস, উপজেলা আ.লীগের আইন-বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. হোসাইন মো. ইসলাম ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শেখ এবাদত সিদ্দিক বিপুল।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও থানা বিএনপির সভাপতি আলহাজ আবুল হোসেন আজাদ, যশোর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর আবু, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম-বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, পৌর বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলাউদ্দীন আলা, কেশবপুর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কাউন্সিলর মশিয়ার রহমান, কেশবপুর থানা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মনিরুজ্জামান তপন, কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবক দলের সমাজ কল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক মোকছেদ আলম। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, জাতীয় পার্টির জেলা সহ-সভাপতি ও কেশবপুর উপজেলা সভাপতি অ্যাডভেঅকেট আব্দুল মজিদ এবং স্বতন্ত্র মনোনয়ন প্রত্যাশী জামায়াত ইসলামের উপজেলা শাখার আমীর অধ্যাপক মুক্তার আলী।

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে এমপি লিটন হত্যা মামলার আসামি সাবেক জাপা দলীয় এমপি ডা. আব্দুল কাদের খানসহ ১০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ছয়জন দলীয় চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা পরিষদ সদস্য এমদাদুল হক নাদিম, সাবেক প্রকৌশলী শহিদুর রহমান প্রামাণিক ও সাবেক জাপা দলীয় সংসদ সদস্য এমপি লিটন হত্যা মামলার আসামি ডা. আব্দুল কাদের খান, উপজেলা চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান। এছাড়া দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আশরাফুল ইসলাম খন্দকার, গণতন্ত্রী পার্টির আবুল বাশার মো. শরিয়তুল্লাহ মাস্টার, জাপা থেকে বর্তমান এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আব্দুর রাজ্জাক সরকার, আ.লীগের আফরুজা বারী, জাসদের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী। উল্লেখ্য, সাবেক এমপি ডা. আব্দুল কাদের খান এমপি লিটন হত্যা মামলায় বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

এদিকে কালকিনি (মাদারীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুর-৩ (কালকিনি, ডাসার ও মাদারীপুর সদরের একাংশ) আসনে ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। গতকাল দুপুরে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তার কার্যালয়ে বসে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়।
এ ছাড়া কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কেরানীগঞ্জে ঢাকা-২ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম গতকাল বেলা ২টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. জাকির হোসেনের কাছে তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঢাকা-২ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মো. জহিরুল ইসলাম সর্বপ্রথম তার মনোনয়নপত্র জমা দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ