Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এরশাদ উঠেছেন জাপা জেগেছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

শঙ্কা-ধোঁয়াশা-সিএমএইচএ ভর্তি-গুরুত্বর অসুস্থতার কারনে হাসপাতাল ছাড়তে পারবেন না এমন গুজবের মধ্যেই দলীয় সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে ফিরেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। গতকাল গুলশানের ইমানুয়েলস মিলনায়তনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তিনি বলেন, আমি ৩শ’ আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবো। এখানে আর কারো (রওশন এরশাদ) দায়িত্ব নেই। আমি ওদের (আওয়ামী লীগ) দেখাতে চাই ৩শ’ আসনেই জাতীয় পার্টির যোগ্য প্রার্থী রয়েছে।
দুপুর পৌনে ১২ টায় এরশাদ অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। এর আগে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সভায় ভোট, জোট এবং প্রার্থীতা চুড়ান্তকরনে এরশাদকে একক দায়িত্ব দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে মোট ২৮৬৫টি মনোয়নয়ন পত্র থেকে বাছাই করে ৭৮০টি মনোনয়ন পত্র হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এরশাদের সিএমএইচএ ভর্তি হওয়া নিয়ে কয়েক দিন ধরেই জাপা এবং রাজনৈতিক মহলে তার অসুস্থতা এবং বাড়ি না ফেরা নিয়ে গুঞ্জন চলছিলো। গত বৃহস্পতিবার রাতে অসুস্থতা নিয়ে সিএমএইচে ভর্তি হয়ে শনিবার রাতে তিনি বাসায় ফেরেন। কিন্তু বাড়িধারার প্রেসিডেন্ট পার্কে ফেরেননি। এ জন্য ২০১৪ সালের ৫ জানুযারী নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর সিএমএইচএ নেয়ার মতই গুজব ওঠে নির্বাচন পর্যন্ত তিনি নাও ফিরতে পারেন।
এইচ এম এরশাদ বলেন, এখনো মামলা আছে আমার নামে। একটা দিনের জন্যও মুক্ত ছিলাম না, এখনো নেই। একটা দিনের জন্যও সুখে ছিলাম না, শান্তিতে ছিলাম না। এখনো মামলা ঝুলছে একটাও নিস্পত্তি হয়নি। আমার মত দুঃখি রাজনীতিবিদ আর কেউ নেই। আমার চেয়ে কেউ কষ্ট করেনি, অসহ্য কষ্ট সহ্য করেছি। খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারাগারে আমার চিকিৎসা হয়নি। খালেদা জিয়া বলেছিলেন ‘এরশাদকে মরতে দাও’। এরশাদ মরে নাই, জাতীয় পার্টি এখনো বেঁচে আছে। জাতীয় পার্টিকে বাচিয়ে রেখেছি আজকের দিনটির জন্য। এখন মাঠে আছে আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টি। আর কোন দল নেই মাঠে।
এরশাদ বলেন, দেশ, পার্টি এবং দলের নেতা-কর্মীদের কথা বিবেচনা করেই ৩শ’ আসনে প্রার্থীতা চুড়ান্ত করা হবে। প্রাথমিক ভাবে ৩শ’ প্রার্থী ঘোষণা করবো। তারপর সম্মিলিত জাতীয় জোটের সাথে প্রার্থীতা চুড়ান্ত করা হবে। রাজনৈতিক মেরুকরণে যদি অন্যকোনো জোটে যেতে হয়, আমি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেবো। যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো, আশা করি তোমরা তা মেনে নেবে। আমাদের সুদিন এসেছে, জাতীয় পার্টি আবার জেগে উঠেছে। ক্ষমতা ছেড়ে দেয়ার পর এবার সর্বোচ্চ মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এটা আমাদের বড় অর্জন।
এর আগে গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বক্তৃতা করেন। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শেখ মুহম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম, এড. সালমা ইসলাম, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, আবদুর রশীদ সরকার, মেজর (অব.) খালেদ আখতার প্রমূখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এরশাদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ