পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আনতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৫ নভেম্বর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন। ইতিমধ্যে সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আনতে করণীয় নির্ধারণে সোমবার রাতে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করছেন পররাষ্ট্র সচিব মোা. শহীদুল হক।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন’ একাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে না আসার কথা জানিয়েছে।
ইসির একজন যুগ্ম সচিব জানান, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবারও পর্যবেক্ষণে আসবে না বলে কমিশনকে জানিয়েছে। ফলে নির্বাচনে কিভাবে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে আসা যায় এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে ২৫ নভেম্বর একটি বৈঠক হবে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সোমবার সিইসির সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক হয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়নই সবচেয়ে বেশি পর্যবেক্ষক পাঠায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনের আগে সহিংসতার কারণ দেখিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। এর পথ ধরে অন্যরাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসেনি। অথচ ২০০৮ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে ইইউ সব থেকে বেশি পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছিল।
এবার ইইউ না আসার ঘোষণা দেয়ায় ইসি বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আনতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অবস্থায় বিদেশি কেউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চাইলে আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে যাতে দ্রুত সাড়া দিয়ে এ বিষয়ে তড়িৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা ঠিক করতেই মূলত উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ডেকেছে কমিশন।
এর আগে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচনে মাত্র ৪ জন বিদেশি পর্যবেক্ষণ করে। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে ৫৯৩ জন বিদেশি, ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ২২৫ জন বিদেশি, ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিদেশি ২৬৫ জন ও ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ৫৯ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।