পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। গতকাল এক সভায় তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিএনপি জাতীয় কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না। কেবল জাতিসংঘের অধীনে এবং সেই নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকলে অংশ নেবে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সংসদ।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কঠোর সমালোচনা করে শাহ মোয়াজ্জেম বলেন, দেশে নির্বাচন বলতে এখন কিছু নেই। এখন নির্বাচন-নির্বাচন খেলা হচ্ছে। আর আমরা সেই খেলায় জেনেশুনে বিষ পান করছি। এটাকে ইলেকশন বলা যায় না, এটা হচ্ছে হারমাদি। যে কারণে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রায় সব কয়টিতে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে। এক্ষেত্রে হয়তো বিএনপি ৫ শতাংশ জয়লাভ করতে পারে। সরকারের অঙ্গসংগঠন হিসাবে কাজ করবে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ইত্যাদি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সঠিক নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ৫ শতাংশও পাবে না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। সারাদেশে আজ কারাগারের চেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। কারাগারে তো তবুও দু’বেলা খেতে দেয়। কিন্তু বাইরে বের হলে মা-বোন ইজ্জত নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে কিনা তার গ্যারান্টি নেই। দেশে উন্নয়নের নামে ধর্ষণতন্ত্র চলছে, যার অধিকাংশ ক্ষেত্রে সরকারের লোকেরাই জড়িত।
সাংবিধানিকভাবে একজন মানুষের তথ্য নেয়ার অধিকার কারো নেই বলে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রতিটি থানায় ভাড়াটিয়ার তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এটি কিসের আলামত?
সভায় বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ পরিবর্তন করে ‘আমার ভোট আমি দেব, তোমার ভোটও আমি দেব’ এই স্লোগানে আওয়ামী লীগ নির্বাচন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে যেখানে আওয়ামী লীগ ১৫৪টি আসন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছে, সেখানে দলটির চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য কষ্ট করতে চাইবে কেন। তাই অভিভাবকদের শিখিয়ে দেওয়া রীতিতে এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও কষ্ট ছাড়া আওয়ামী লীগ সমর্থকরা জয়লাভ করবে। অভিভাবকরা যেমন অবৈধভাবে জয়লাভ করেছে, শিষ্যরাও ইউনিয়ন নির্বাচনে একইভাবে জয়লাভ করবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সমর্থিত যারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করবে, তাদের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ১৫ দিন থেকে ৩ মাস। তারপরই কলমের এক খোঁচায় তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে এবং সাথে দেওয়া হবে মামলা।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সংসদের সভাপতি চৌধুরী রাজীব হাসান রিপন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।