পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত বৃহৎ ইসলামি মারকাজ সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদ ও অ্যাডুকেশন সেন্টারের পরিচালক আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর পুরো জীবনই একজন মুমিনের আদর্শ। তাঁর অনুসারী দাবি করতে হলে নখ থেকে চুল কাটা ও মসজিদের মিম্বর থেকে রাজনীতির মাঠ সর্বত্রই তার অনুসরণ করতে হবে। অর্ধেক মানি আর অর্ধেক মানি না এটা নবীর আদর্শ নয়। জীবনের চরম দুঃসময় ও সুসময়েও নবীর তরিকা মেনে চলতে হবে। এরই নাম মুমিন আর এর নামই মুসলমান।
তিনি বলেন, আমরা নবীর অনুসারী দাবি করি কিন্তু ব্যক্তি জীবনে নবীর আদর্শ নেই। শুধু দাড়ি রাখা আর টুপি-পাঞ্জাবি পড়ার মধ্যেই নবীর আদর্শ সীমাবদ্ধ নয়। সত্যিকারের মানুষ হতে না পারলে, ভেতরের আমিত্বকে বিসর্জন দিতে না পারলে আল্লামা-মওলানা পদবিধারী হয়েও নবীর প্রকৃত অনুসারী হওয়া যাবে না।
গত শনিবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে সৈয়দ শাহ মোস্তফা জামে মসজিদ আবাডিন ইউকেতে অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
আলহাজ সাব্বির আহমদ আরো বলেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সারাজীবন মানুষের ইহকালিন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য লড়েছেন। তাঁর জীবনে কলঙ্কের কোন অধ্যায় নেই। মহানবীর আদর্শ ছিল পৃথিবীর সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। মানুষ এক আল্লাহর দাসত্ব করবে ও নবীর রিসালতের উপর ঈমান এনে সৎকর্মশীল হবে। অন্যের অনিষ্ট করা থেকে বেঁচে থাকবে। প্রতিবেশির হক আদায় করবে। পরোপকারী হবে। মানুষ হয়ে মানুষের উপর অন্যায় খবরাদারি করবে না। নবীর আদর্শ যার জীবনে নেই সে ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত।
মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ সৈয়দ ফারুক আহমদের সভাপতিত্বে ও হাফিয রুহুল আমিনের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সুমী মহসিনা অ্যাডুকেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. চন্দন মিয়া. মাসুক মিয়া. বাদশা মিয়া, আব্দুল লতিফ, লুৎফুল হক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।