মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের থার্ড কমিটি একটি নিরপেক্ষ মেকানিজম প্রতিষ্ঠার দ্রুত তাগিদ দিয়ে প্রস্তাব পাস করেছে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২টি দেশ প্রস্তাবটি সমর্থন করে, ১০টি বিরোধিতা এবং জাপানসহ ২৬টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে। থার্ড কমিটির রেজ্যুলেশনটি ৯৯টি দেশ কো-স্পন্সর করছে। প্রস্তাবে রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন, নাগরিকত্ব প্রদান, কফি আনান কমিশন রিপোর্টের পূর্ণ বাস্তবায়ন, রোহিঙ্গাদের নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয় এই রেজ্যুলেশন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত যাচাই-বাছাই করে ফেরত নেওয়ার জন্য এবং এ বিষয়টিও এই রেজ্যুলেশনে উল্লেখ আছে। রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য নৃ-তাত্তি¡ক গোষ্ঠির মধ্যে অস্থিতিশীল ও নিরাপত্তাহীনতা পরিস্থিতি যাতে করে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবারও আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোটদানকারী দেশগুলো হচ্ছে- চীন, রাশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, বেলারুশ, বুরুন্ডি, কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম ও জিম্বাবুয়ে। গত বছরেও থার্ড কমিটিতে রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়। ওই রেজ্যুলেশনটিও ৯৭টি দেশ কো-স্পন্সর করেছিল। রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, রাখাইনে মুসলিমরা মিয়ানমারের স্বাধীনতার পূর্বেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বসবাস করছে। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন পুনর্বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নাগরিকত্ব প্রদানের আহ্বান জানিয়ে মিয়ানমার সরকারকে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ওপর যারা অত্যাচার করেছে, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য। বর্তমান রেজ্যুলেশনে মিয়ানমারে মানবাধিকার লংঘন তদন্তের জন্য দ্রুততার সঙ্গে নিরপেক্ষ মেকানিজম প্রতিষ্ঠার ওপরে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের মিলিটারির ওপরে যেন বেসামরিক সরকারের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। রাখাইনে সামরিক অভিযানের কারণে নিয়মতান্ত্রিকভাবে রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে এবং মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হয়, এই অভিযান বন্ধের এবং এর জন্য যারা দোষী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার জন্য। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে ফেরত যেতে পারে এবং রাখাইনে যেন জাতিসংঘসহ অন্যান্য সাহায্য সংস্থা কাজ করতে পারে। রয়টার্স, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।