পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী শিক্ষা নগরী ও বিভাগীয় নগরী হিসাবে প্রত্যেক দলের কাছে সদর আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। এ আসনের এমপিকে ঘিরে আবর্র্তিত হয় এখানকার দলীয় রাজনীতি। ফলে সবার নজর থাকে এ আসনের প্রার্থীর দিকে। বিশেষ করে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের। বর্তমানে এমপি আছেন আওয়ামী লীগের জোটের শরীক ওয়াকার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। ৪৫ বছর ধরে আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী কে হচ্ছেন এনিয়ে চলছে গুঞ্জন। ইতোমধ্যে বিএনপির প্রার্থী প্রায় নিশ্চিত, সাবেক মেয়র এমপি মিজানুর রহমান মিনু।
আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের প্রার্থী হিসাবে কি ফের ফজলে হোসেন বাদশা থাকছেন নাকি আওয়ামী লীগের অন্য কেউ। স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাথে বেশ খানিকটা শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে বাদশার। আওয়ামী লীগ চায় এ আসনটিতে আওয়ামীলীগের একজন মনোনয়ন পাক। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র তুলে জমা দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. পূর্নিমা ভট্টাচার্য, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবু। এর বাইরে আলোচিত হচ্ছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক রাবি ভিসি আব্দুল খালেকের নাম।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলছেন সিটি মেয়র পদটি আওয়ামী লীগের ঘরে গেছে। এখন এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের এমপি হলে সবদিক দিয়ে সুবিধা হবে। তাছাড়া ১৯৭৩ সালের পর থেকে হাতছাড়া আসনটি আওয়ামী লীগের ঘরে গেলে সেটি সম্মানের ব্যাপার হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের জোটের কারণে নির্বাচিত হলেও তিনি আওয়ামী লীগের দিকে ফিরে তাকাননি। দশ বছরে দশবারও আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যাননি। দশ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর কাজে লাগেননি। এনিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। মহাজোটের কারণে প্রার্থী করতে হলে এ গুরুত্বপূর্ন আসনে নিজেদের একজন প্রার্থী দিয়ে বাদশাকে অন্যকোন আসন দেয়া যেতে পারে। তারপরও কেন্দ্রীয় ভাবে যে সিদ্ধান্ত আসবে তাতো মানতেই হবে।
বর্তমান এমপি ফজলে হোসেন বাদশা তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সর্ম্পকে বলেন এসব অপপ্রচার। আমি নির্বাচিত হবার পর রাজশাহীর মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। কোন দলীয় স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নগরবাসী আমাকে ভোট দেয়নি। আমার নিজের দলের জন্যও নয়। সরকার আমাকে এলাকার উন্নয়নের জন্য যে দায়িত্ব দিয়েছে তা যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। দশ বছরে ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। যার মধ্যে কোন দুুর্নীতি নেই। ফজলে হোসেন বাদশার অনুসারীরা বলছেন, তার ভূমিকা ছিল দলীয় এমপি না জনসাধারণের এমপি হিসাবে। সংসদে ছিলেন সোচ্চার। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তার বিকল্প নেই।
এদিকে রাজশাহী অঞ্চলের বিএনপিতে একাই রাজা হিসাবে নিজেকে অধিষ্টিত করেছেন টানা সতের বছরের মেয়র ও এমপি বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু। অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা। যার প্রমানও মেলে তার প্রতি সম্মান রেখে অন্যকেউ মনোনয়নপত্র নেয়নি। কারন হিসাবে বলা হয় রাজশাহী নগরীর উন্নয়নের রুপকার ছিলেন মিজানুর রহমান মিনু। টানা সতের বছর রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন মহানগরীকে। যারই ধারাবাহিকতায় আজকের দৃষ্টিনন্দন রাজশাহী মহানগরী। অসম্ভব জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। সাংগঠনিক দক্ষতাও কম নয়। স্বল্প সময়ের ডাকে কয়েক হাজার কর্মী রাজপথে নামতে পারে। ক্ষমতাসীন থাকার সময় কখনো সাইকেলে কখনো রিক্সায় ঘুরতেন নগরময়। সকাল থেকে বাস ভবনে ভীড় জমাতো নগরীর লোকজন তাদের সমস্যার কথা শুনতেন। ক্ষমতার বাইরে থেকেও এখনো একই কায়দায় রিক্সাই ঘোরেন। খুব সাদা মাটা ভাবে মিশে যান নগরবাসীর সাথে। নগরবাসীর কাছে তিনি মিনু ভাই বলে পরিচিত।
আসন্ন নির্বাচনে সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু প্রায় নিশ্চিত হলেও এখনো টানপোড়েন রয়েছে আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের প্রার্থী নিয়ে। প্রার্থী যেই হোকে না কেন নির্বাচনী লড়াইটা হবে মিনুর সাথে। আর সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দি¦ হিসাবে থাকছেন ওয়াকার্স পাটির সাধারন সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। এখন অপেক্ষা দুই বড় দলের প্রার্থী ঘোষনার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।