Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশকে দায়ী করছে মিয়ানমার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে দোষারোপ করছে মিয়ানমার। দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী গত বৃহ¯পতিবার দুই হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন রাজ্যে ফেরত পাঠানোর কথা থাকলেও কোনো রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফেরত যায়নি। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলে হচ্ছে, দেশটির কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের দেশে গ্রহণ করার অপেক্ষায় ছিল। আর এ দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরতের মাধ্যমে পুনির্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে না পারায় বাংলাদেশ সরকারকে দুষছে তারা। এ খবর জানিয়েছে দেশটির স্থানীয় মিডিয়া মিয়ানমার টাইমস।
মিয়ানমারের স্থায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ মাইয়ান্ত থু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের চুক্তি বাংলাদেশ সরকার মানতে ব্যর্থ হয়েছে। পুনর্বাসন তালিকায় যাদের নাম ছিল, তাদেরকে জানাতে বাংলাদেশ সরকার ব্যর্থ হয়েছে। দুই দেশ যে পর্যায়ে সহমত পোষণ করেছিল, বাংলাদেশ সরকার সে আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে তিন ধরণের রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে এক গোষ্ঠী আছে যারা মিয়ানমারে ফেরত না এসে তৃতীয় কোনো দেশে যেতে চায়। দ্বিতীয়ত, গত বছর ২৫ শে অক্টোবরে যারা রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা চালিয়েছিল এবং তৃতীয়ত যারা মিয়ানমারে আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফেরত আসতে চায়। প্রথম ও দ্বিতীয় ক্যাটাগরির শরণার্থীরা ফেরত আসবে না। তবে আমরা অবশ্যই স্বীকৃত শরণার্থীদেরই দেশে গ্রহণ করব। আর মিয়ানমার সরকার চুক্তি অনুযায়ী তাদেরকে পুনর্বাসন এবং পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ চালিয়ে যাবে।
এর আগে গত অক্টোবর মাসে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনির্বাসনের চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার। বৃহ¯পতিবার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হবার কথা থাকলেও, রোহিঙ্গারা দেশে সুরক্ষিত নয় বলে আন্তর্জাতিক মহল এ চুক্তি স্থগিতের দাবি জানায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন পরিষদের পক্ষ থেকে জানিয়েছে, পুনর্বাসন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কেননা শরণার্থীরা ফেরত যেতে চায় না। যদিও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাদের দেশে ফেরত যেতে উৎসাহিত করা হয়েছে।
রাখাইন রাজ্য বিষয়ক কফি আনান পরিষদের একজন সাবেক সদস্য ইউ আয়ে লাউয়িন বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে তারা দেশে ফিরে সুরক্ষিত থাকবে। শরণার্থী শিবিরে এমন কেউ নেই যারা দেশে ফিরে যেতে চায় না। মূলত, রোহিঙ্গাদের দাবি অনুযায়ী তাদের সুরক্ষা ও জীবিকা সংক্রান্ত নিশ্চয়তা মিয়ানমার সরকার দিলেই এ সমস্যার সহজ সমাধান হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ