পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘদিনের রাজপথের সঙ্গী ২০ দলীয় জোটের সাথে নতুন আরেকটি জোটে যুক্ত হয়েছে বিএনপি। গণফোরাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য ও ঐক্যপ্রক্রিয়াকে নিয়ে গঠন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। আন্দোলনের অংশ হিসেবে দুটি জোটকে সাথে নিয়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে রাজপথের প্রধান এই বিরোধী দল।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিএনপিসহ দুইজোটের সবকটি দল মনোনয়ন ফরমও বিতরণ করছে। জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলেও কোন দল কতটি আসনে নির্বাচন করবে সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। জোটবদ্ধভাবে অতীতে নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থাকলেও এবার আসন বন্টন নিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে বলে মনে করছেন নির্বাচন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত বিএনপি নেতারা। প্রাথমিকভাবে জোটের দলগুলো কোন কোন আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় তার প্রার্থী তালিকা চেয়েছে বিএনপি। অধিকাংশ দল ইতোমধ্যে সেই তালিকা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে জমাও দিয়েছে। জমা দেয়া তালিকা অনুযায়ি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০দলীয় জোটের দলগুলো প্রায় ২০০ আসন দাবি করেছে। যদিও বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিকদের জন্য সর্বোচ্চ ৭০ আসনে ছাড় দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি। এক্ষেত্রে তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে- এর মধ্যে প্রথমত, যেসব আসনে বিএনপির শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান ও প্রার্থী রয়েছে সেসব আসনের প্রার্থী তালিকা ইতিমধ্যে চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, যেসব আসনে জোট ও ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান ও প্রার্থী রয়েছে সেগুলো নিয়েও অযথা জটিলতা করবে না বিএনপি। তৃতীয়ত, যেসব আসনে বিএনপি ও জোটের শরিকদের শক্ত অবস্থান এবং প্রভাবশালী প্রার্থী রয়েছে কিংবা জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে ঐক্য ধরে রাখতে ঐক্যফ্রন্ট ও শরিক দলগুলোর প্রার্থীদের ব্যাপারে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
২০ দলীয় জোটের দলগুলো আসন চেয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পৃথকভাবে চিঠি দিয়েছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় উভয় জোট বিএনপির কাছ থেকে ২৩০টির মতো আসন চেয়েছে। প্রতিটি দলই মনে করে তালিকায় তারা যেসব আসনে প্রার্থী চেয়েছেন সেসব আসনে তাদের পর্যাপ্ত ভোট রয়েছে এবং প্রার্থীদের জনপ্রিয়তাও রয়েছে। তবে দুই জোটেরই প্রধান শরিক বিএনপি এখনো এ বিষয়ে জোটের দলগুলোকে সুস্পষ্ট কিছু জানায়নি। বিএনপি সূত্রে জানা যায়, জোটের সবগুলো দলের কাছ থেকে তালিকা পাওয়ার পর তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবেন। এরপর দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সার্বিক বিষয়ে অবহিত করে নির্দেশনা নেবেন। সেই নির্দেশনার আলোচনা জোটের নেতাদের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। দলটির একাধিক নেতা জানান, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে আন্দোলনে থাকলেও দফায় দফায় নিরবে বিএনপি নির্বাচনী মাঠ জরিপ করেছে। নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নানা মাধ্যমে পরিচালিত এসব জরিপে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের সাংগঠনিক অবস্থান, জনপ্রিয়তা, প্রভাব ও গ্রহণযোগ্যতার ভিত্তিতে কয়েকটি তালিকা তৈরি করেছিল দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব। তারই অংশ হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দলের পদপদবিতে না থাকা কিন্তু এলাকায় জনপ্রিয় কিছু নেতাকেও দলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর একদিকে সংলাপের তোড়জোড় চললেও অন্যদিকে নিজস্বভাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঠের অবস্থান যাচাই করেছে বিএনপি। এতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের শরিক দলের নেতাদের ৬০টি আসন পাওয়া যায়, যেখানে দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছাড় দেয়া যায়। কিন্তু প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও জাতীয় রাজনীতি বিবেচনায় তার সঙ্গে ১০টি আসন যোগ করে সর্বোচ্চ ৭০টি আসনে ছাড় দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪দলীয় জোট এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেয়। ২০০৮ সালে বিএনপি তার জোটের শরিকদের ৪০টি আসন ছেড়ে দিয়ে নিজেরা ২৬০টি আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে। জোটের মধ্যে জামায়াতকে ৩৩টি, বিজেপি, ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম প্রত্যেককে ২টি করে এবং জাগপাকে ১টি আসন দেয়া হয়। এবার জোটের আকার বেড়েছে এবং একই সঙ্গে দুটি জোটভূক্ত হয়ে নির্বাচন করছে বিএনপি। তাই দুই জোটের শরিকদেরই আসনের চাহিদাও বেশি। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার বিএনপিকে অন্যবারের চেয়ে অনেক বেশি আসন ছাড়তে হবে।
আসন বণ্টন নিয়ে এখনো চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জোটের শরিকদের সাথে আলোচনা করে প্রার্থী ঠিক করা হবে। এখনো এ বিষয়ে আমরা চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার পর আসন নিয়ে কোন কিছু ঠেকে থাকবেনা বলেও মনে করেন তিনি।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, সবক্ষেত্রেই মনোনয়ন দেয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে দলগত ও ব্যক্তিগত ভোটব্যাংকের হিসাব। পাশাপাশি বিএনপি প্রার্থী থেকে যোগ্য এবং ভোট টানতে সক্ষম প্রার্থীরা মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা পাবেন। বিএনপি সূত্র জানায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে সমন্বয়ক করা হয়েছে আসন বণ্টনের। তার সাথে স্থায়ী কমিটির আরও একাধিক নেতা ও ভাইস চেয়ারম্যানও রয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আসন ভাগাভাগি চ‚ড়ান্ত হবে। বিএনপি নেতারা বলছেন, এবার সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। এ বিষয়টি জোটের সব শরিকের মনে রাখতে হবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, এবার ভোটের বিষয়টি অন্যবারের চেয়ে ভিন্ন। দেশে এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়টি সবচেয়ে মূখ্য। তাই সকলকেই ছাড়ের মানসিকতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ২০ দলীয় শরিকদের মধ্যে জামায়াতের দাবি ৫০ আসন। জোটের অন্য শরিক দলগুলো ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও নিবন্ধন হারানো জামায়াত নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। জামায়াত সূত্র জানায়, ঠাকুরগাঁও-২ আবদুল হাকিম, দিনাজপুর-১ আবু হানিফ, দিনাজপুর-৬ আনোয়ারুল ইসলাম, নীলফামারী-২ মনিরুজ্জামান মন্টু, রংপুর-৫ গোলাম রব্বানী, কুড়িগ্রাম-৪ মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, গাইবান্ধা-১ মাজেদুর রহমান, গাইবান্ধা-৩ আবদুর রশিদ সরকার, গাইবান্ধা-৫ মাওলানা আমজাদ হোসেন, চাঁপাই নবাবগঞ্জ-৩ নুরুল ইসলাম বুলবুল, রাজশাহী-১, সিরাজগঞ্জ-৪ রফিকুল ইসলাম খান, পাবনা-১ ব্যারিস্টার নজিবুল্লাহ মোমিন, ঝিনাইদহ-৩ অধ্যাপক মতিউর রহমান, যশোর-২ আবু সাঈদ মো. শাহাদাত হুসাইন, বাগেরহাট-৪ অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, খুলনা-৫ মিয়া গোলাম পরোয়ার, খুলনা-৬ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা-৪ গাজী নজরুল ইসলাম, পিরোজপুর-১ শামীম সাঈদী, সিলেট-৫/৬, কুমিল্লা-১১ ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, চট্টগ্রাম-১৫ আ ন ম শামসুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ হামিদুর রহমান আজাদ জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্র নির্বাচনে জোটের সমর্থন চাইবে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার তাদের জন্য বরাদ্দ হতে পারে সর্বোচ্চ ২৫ আসন। বিএনপি মহাসচিবের কাছে এলডিপির পক্ষ থেকে ৩০টি আসন চেয়ে প্রার্থী তালিকা দেয়া হয়েছে। এই তালিকায় চট্টগ্রাম-১৪, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৫, চট্টগ্রাম-৭, লক্ষীপুর-১, কুমিল্লা-৭, কুমিল্লা-৫, নেত্রকোনা-১ ও মেহেরপুর-২। বাংলাদেশ লেবার পার্টি ২টি আসন চেয়েছে। এর মধ্যে পিরোজপুর-২ ও কুমিল্লা-৫ রয়েছে। জাতীয় পার্টি ১৫টি, অন্যান্য দলও একাধিক আসন চেয়েছে। তবে বিএনপি সূত্রে জানা যায়, এলডিপি ৪-৫টি, জাতীয় পার্টির (জাফর) ৪টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ২-৩টি, বিজেপি ১টি, জাগপা ১টি, কল্যাণ পার্টি ১টি, খেলাফত মজলিস ১টির মতো আসন পেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য দলগুলোর অবদানও বিবেচনায় রেখেছে বিএনপি। তাদের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে নাগরিক ঐক্য ৪০টি, গণফোরাম ৩০টি, জেএসডি ৩০টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ৫টি আসন চায়। এর মধ্যে দল ও জোট শরিকদের অনুরোধে ড. কামাল ঢাকা-৮ বা অন্য এক বা একাধিক আসনে প্রার্থী হতে পারেন। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ঢাকা-২ বা ৩ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ঢাকা-১৪ আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন। ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ মৌলভীবাজার-২ আসনে মনোনয়ন পাবেন। মফিজুল ইসলাম খান কামালের জন্য মানিকগঞ্জ-৩ ও জানে আলমের জন্য চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে মনোনয়ন চাইবে গণফোরাম। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জেএসডিও এর আগে ৩০ আসনের প্রস্তুতি নিলেও এখন ১৫টি চাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব লক্ষীপুর-৪ আসন থেকে অথবা ঢাকা থেকে মনোনয়ন চাইবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন চান কুমিল্লা-৪ আসন। সহ-সভাপতি তানিয়া রব ঢাকা-১৮ (উত্তরা), কেন্দ্রীন্দ্রুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ফেনী-৩ (দাগনভ‚ঞা-সোনাগাজী) আসনে, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটওয়ারী ঢাকা-১৪ (মিরপুর), সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ গোফরান লক্ষীপুর-১, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল লক্ষীপুর-৩, উল্লাপাড়ার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু ইসহাক সিরাজগঞ্জ-৪, জামালপুরের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির উদ্দিন জামালপুর-৪, জবিউল হোসেন চট্টগ্রাম-১০, মির্জা আকবর চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন।
ঐক্যফ্রন্টের আরেক শরিক নাগরিক ঐক্য এতদিন ৩০ আসন চাইলেও এখন চূড়ান্ত দরকষাকষির পর্যায়ে ১৫টি চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বগুড়া-২ বা ঢাকা-১৭ (গুলশান) আসনে মনোনয়ন চাইবেন। তার দলের অন্যতম নেতা এসএম আকরাম হোসেন নারায়ণগঞ্জ-২, কেন্দ্রীয় নেতা মোমিনুল ইসলাম লিটন লক্ষীপুর-১, নইম জাহাঙ্গীর জামালপুর-৩, ফজলুল হক সরকার চাঁদপুর-৩, ডা. নাজিম উদ্দিন গাজীপুর সদর, ছিন্নুর আহমেদ চৌধুরী দীপু সিলেট-১ বা ৬, রবিউল ইসলাম সাতক্ষীরা-২, দিদারুল আলম বাবুল বাগেরহাট-৩, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ময়মনসিংহ-২, মোফাখুল ইসলাম নবাব রংপুর-৫, মোবারক হোসেন খান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল আসনে মনোনয়ন চাইবেন। কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে সর্বোচ্চ তিনটি আসন দিতে পারে বলে জানিয়েছে বিএনপি স‚ত্র। তবে তিনি ৫টি আসন দাবি করছেন। টাঙ্গাইল জেলায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভোট ব্যাংক রয়েছে। কাদের সিদ্দিকী, দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী জোটের মনোনয়ন পেতে পারেন। এর বাইরে কাদের সিদ্দিকী তার ভাই আজাদ সিদ্দিকীর জন্য টাঙ্গাইলের একটি আসনে ও দলীয় নেতা শফিউল ইসলামের জন্য নারায়ণগঞ্জে একটি আসনে মনোনয়ন চাইবেন। ঐক্যফ্রন্টের শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশ (একাংশ) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের একটি আসনে ছাড় দিতে পারে বিএনপি। সেক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর নূরুল আমিন বেপারি মনোনয়ন পেতে পারেন। তবে সবমিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট ২০টি আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন বলে বিএনপি সূত্রে জানা যায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২০-দলীয় জোটের অনেক দলই তাদের প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে। সব শরিক দলের কাছ থেকে প্রার্থীর তালিকা পাওয়ার পর কত আসন ছাড়া হবে, তা আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আমাদের মধ্যে কোন সমস্যা বা জটিলতা হবে না।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।